বারোমাসি কাটিমন চাষ করে সফল হয়েছেন নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার শিহাড়া ইউনিয়নের সোলাইমান আলী (বাবুল)। বাবুল আক্তার তার পাশের গ্রামে ২৫ বিঘা জমিতে ২৫’শ টি কাটিমনের চারা রোপণ করছিলেন ২০২০ সালের শেষের দিকে। গাছগুলোর বর্তমান বয়স প্রায় ২ বছর।অফ সিজনেও গাছে ধরে আছে থোকায় থোকায় আম। একই সাথে আবার আম ধরা গাছেই বিভিন্ন ডালে এসেছে নতুন মুকুল যা দেখলে যে কারোরই মন ভরে যাবে। তিনি তার এই বাগান থেকে ইতোমধ্যেই ৮০ মন আম বিক্রি করেছেন। গাছে আম রয়েছে এখনও একশো মন। আশা করছেন আমগুলো বিক্রি হবে বেশ ভালো দামে।চাষী বাবুল আক্তার বলেন, আমি ইউটিউবে প্রথমে এই সম্পর্কে জানি। তারপর আমার ইচ্ছা জাগে এই আম চাষ করার। সে বছরই ৮০০ টি গাছ এনে আমার পাশের এলাকার জমিতে রোপণ করি। ৮০০ টি গাছের ভিতর ৭৯০টি গাছ টিকেছিল এবং লাগানোর ৬ মাস পর থেকেই গাছে আম ধরে। পরবর্তীতে আমি জমি বর্গা নিয়ে বড় আকারে কাটিমন আমের প্রজেক্ট শুরু করি।তিনি আরও বলেন, প্রথবার আমি ১৪ হাজার টাকা মণে ৮০ মণ আম বিক্রি করেছি। অন্যান্য আম থাকায় ৩৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি করেছিলাম।পরিচর্যার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি অন্যান্য গাছের মতোই এই গাছগুলোকে রোপণ করেছি। সচরাচর ব্যবহৃত কীটনাশকের বাইরে তেমন কিছুই ব্যবহার করি নাই। শুধু নিয়মিত গাছগুলোকে পরিষ্কার ও জৈব সার প্রয়োগ করেছি। উপজেলা কৃষি-সম্প্রসারণ অফিসার মোহাইমেনুল ইসলাম জানান, বাবুল আক্তার যখন কুল ও কাটিমন আমের বাগান শুর করে তখন আমাদের সাথে যোগাযোগ করে। আমরা তাকে বিভিন্ন ভাবে পরামর্শ ও তার আম বাগানের খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য যাই। আশা করি আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বিঘা প্রতি ৩৫ থেকে ৪০ মণ আম পাবেন কৃষক বাবুল। পত্নীতলা উপজেলা কৃষি অফিসার প্রকাশ চন্দ্র সরকার সাথে কথা বললে তিনি প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, বাবুল আক্তার একজন প্রগতিশীল কৃষক। বড়ই, মাল্টা, কাটিমন, আমরুপালি সবমিলিয়ে তিনি একশো বিঘার মতো চাষাবাদ করেন। আধুনিক প্রযুক্তির যে ভ্যারাইটিগুলো এসেছে সেগুলো তিনি চাষাবাদ করে। বারোমাসি এই কাটিমন আমটি ইতোমধ্যেই দেশজুড়ে আলোচনার সৃষ্টি করেছে। আশা রাখছি আবহাওয়া যদি অনুকূলে থাকে তাহলে এক কোটি টাকার মতো আম বিক্রি করতে পারবে।