উৎপাদনের কাঙ্খিত লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার দলই চা বাগানে চা পাতা চয়নের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। ব্যক্তি মালিকানাধীন দলই বাগানে চা পাতা চয়নের উদ্বোধন করেন সিলেট টি কোম্পানী লিমিটেড এর দলই চা বাগানের ব্যবস্থাপক মো: আসগর আলী। সোমবার (৭ মার্চ) সকাল ১০ টায় শ্রমিকদের আনুষ্ঠানিকতা শেষে চা বাগানের ১৯ নম্বর সেকশনে পাতা চয়নের উদ্বোধন করা হয়। সোমবার সকালে সিলেট টি কোম্পানী লিমিটেড এর অধীনস্থ দলই চা বাগানের ১৯ নম্বর সেকশনে বাগান কর্তৃপক্ষ, চা বাগান শ্রমিক ও পঞ্চায়েত নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে শ্রমিকরা পুজোর্চনা, কোরআন তেলাওয়াত, দোয়া মাহফিল, গীতাপাঠসহ আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন। এর পর গত বছরে যারা সবচেয়ে বেশি দায়িত্বের সাথে পাতা তুলার কাজ করেছে তাদের মধ্যে পুরুষ্কার দেওয়া হয়। পুরুষ্কৃতরা হলেন-বাসন্তী পাসী,সবিতা মাদ্রাজী ও আলিয়া বেগম। পরে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা পর্বে বক্তব্য রাখেন দলই চা বাগানের ব্যবস্থাপক মো: আসগর আলী, সহকারী ব্যবস্থাপক গোলাম জাকারিয়া, আব্দুল আহাদ, চিলা করণিক আব্দুল মতিন, আব্দুল সত্তার, সুনীল তাতী, বিমল, অজয় দাস. স্থানীয় ইউপি সদস্য শীব নারায়ন শীল, পঞ্চায়েত সভাপতি কৃষণ পাসী, সাবেক ইউপি সদস্য তুলসী মাদ্রাজী, চা বাগানের পঞ্চায়েত সম্পাদক সেতু রায়, পাতী দফা সর্দার রাম কুমার পাসী ও সুধাম সর্দার, চা শ্রমিকের মহিলা নেত্রী বাসন্তী পাসী ও খোদেজা বেগম।
পরে চা পাতা চয়নের মাধ্যমে মৌসুমের প্রথম পাতি উত্তোলন শুরু করেন নারী শ্রমিকরা। আলোচনা অনুষ্ঠানে বাগান কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকরা চায়ের আশাতীত উৎপাদনের আশা প্রকাশ করেন। পরে চা পাতা চয়নের উদ্বোধন করেন সিলেট টি কোম্পানী লিমিটেড এর দলই চা বাগানের ব্যবস্থাপক মো: আসগর আলী। দলই চা বাগানের সেকশনে সেকশনে চা গাছে নতুন কুঁড়ি সবুজের শোভা বর্ধন করেছে। সতেজতায় হাসছে চা বাগান। বাগান কর্তৃপক্ষ ও চা শ্রমিকরাও চা পাতা উত্তোলনে অধীর আগ্রহে। সাধারণত ডিসেম্বরে মৌসুমের শেষে চা গাছ ছাটাই বা কলম এর পর নিয়মানুযায়ী দু’তিন মাস চা বাগানে চা পাতা উৎপাদন বন্ধ থাকে। ফলে চা কারখানাও অলস থাকতে হয়। সেচ সুবিধা ও বৃষ্টিপাতের কারনে নতুন কুঁড়ি গজানোর পর আনুষ্ঠানিকভাবে চা পাতা চয়নের মাধ্যমে শুরু হয় চায়ের উৎপাদন। এবছরও এর কোন ব্যতিক্রম ঘটেনি। চা পাতা চয়ন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিলেট টি কোম্পানী লিমিটেড এর দলই চা বাগানের ব্যবস্থাপক মো: আসগর আলী বলেন, এ বছর দলই চা বাগানে চা উৎপাদরে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ লক্ষ কেজি। তিনি আরো বলেন, দানবীর আলহাজ্ব রাগীব আলী নিজের কোন স্বার্থ ব্যতীত শ্রমিকদের স্বার্থেই দলই চা বাগান চালু রেখেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় মৌসুমের প্রথম এবছর চা পাতা চয়নের উদ্বোধন করা হচ্ছে। শ্রমিকদের আন্তরিকতার মধ্যদিয়ে আশাতীত উৎপাদন সম্ভব হবে বলে তিনি দাবি করেন।