স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার ধলাপাড়া-গাংগাইর-কালিহাতী রাস্তায় বংশাই নদীর ওপর কাক্সিক্ষত সেতু নির্মিত না হওয়ার দুর্ভোগে রয়েছেন প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার ধলাপাড়া ও দেওপাড়া ইউনিয়নের গাংগাইর, সরাসাক, আমজানি, বাদেআমজানি, গোলাবাড়ি, ধলাপাড়া, মলাজানি, জুগিয়াটেংগর, নয়ারহাট, বর্গাসহ ১০টি গ্রামের মানুষকে যাতায়াত করতে হয় বংশাই নদী পারাপার হয়ে। অত্র এলাকার সরাসাক গ্রামে রয়েছে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, গাংগাইর গ্রামে রয়েছে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এছাড়া ধলাপাড়া এলাকায় রয়েছে একটি বড় বাজার, একটি কলেজ, একটি মাধ্যমিক বালক বিদ্যালয় ও একটি বালিকা বিদ্যালয়। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের বংশাই নদী পার হয়েই লেখাপড়া করতে হয়। গাংগাইর গ্রামের পল্লী চিকিৎসক সেন্টু তালুকদার বলেন, বর্ষার সময় সঠিক সময় খেয়া পর হতে না পারায় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা সময় মতো ক্লাসে উপস্থিত হতে পারে না। শুকনো মৌসুমেও ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো পার হতে হয়। বংশাই নদীর ওপর সেতু নির্মাণ জরুরি। একই গ্রামের নূরুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন সময়ে জনপ্রতিনিধিরা প্রতিশ্রুতি দিলেও স্বাধীনতার ৫০ বছরেও বংশাই নদীতে সেতু নির্মিত হয় নাই। অথচ প্রতিদিন ১০ গ্রামের শত শত মানুষকে এই নদী ওপর দিয়ে পারাপার হয়ে যাতায়াত করতে হয়। আমি সরকারের কাছে এখানে দ্রুত সেতু নির্মাণের দাবি জানাই। খেয়াপারের মাঝি দুলাল জানান, আমার বাপ-দাদারাও এই খেয়ার মাঝি ছিল। বংশানুক্রমে আমিও খেয়া পারাপার করি। এখানে সেতু নির্মাণ হলে এলাকার মানুষের দুর্ভোগ থাকবে না। ধলাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান এজহারুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, ধলাপাড়া-গাংগাইর-কালিহাতী রাস্তায় বংশাই নদীর ওপর সেতু নির্মাণ করা জরুরি। বিষয়টি আমি স্থানীয় প্রশাসন ও এমপি মহোদয়কে অবগতি করেছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে সেতুটি হবে বলে আশা করি।