শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক পর্ষদের ৩৮৭তম সভা অনুষ্ঠিত অন্তর্র্বতীকালীন সরকারকে দ্রুত জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে -আমান শ্রীমঙ্গলে নারী চা শ্রমিক-কর্মজীবী নারীর প্রতি সহিংসতা ও বৈষম্য নিয়ে সংলাপ কালীগঞ্জে সরকারি মাহতাব উদ্দিন কলেজে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম : আতঙ্কে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বগুড়ার শেরপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত-নিহতদের স্মরণসভা দেশবিরোধী চক্রান্তকারীদের দাঁত ভাঙা জবাব দেওয়া হবে-রেজাউল করিম বাদশা দুর্গাপুরে আইনজীবীদের মানববন্ধন কয়রায় বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের স্মরণ সভা ও সাংস্কৃতিক ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে মুন্সীগঞ্জে বিক্ষোভ মিছিল সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকন নিষিদ্ধের প্রতিবাদে জলঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ দুর্গাপুরে শেষ হলো দুইদিন ব্যাপি কৃষিবিষয়ক প্রশিক্ষণ

রাজধানীর প্রতিটি বাড়িতে সেপটিক ট্যাংক থাকতে হবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক :
  • আপডেট সময় রবিবার, ১৩ মার্চ, ২০২২

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, রাজধানীর পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনায় প্রতিটি বাসা-বাড়ি এবং সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিজস্ব সেপটিক ট্যাংক থাকতে হবে। সুয়ারেজ লাইন কোনভাবে সরাসরি লেক অথবা খালে দেওয়া যাবে না। গতকাল রবিবার (১৩ মার্চ) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) উদ্যোগে নগর ভবনে আয়োজিত ‘নিরাপদ পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা: আমাদের করণীয় শীর্ষক কর্মশালা’য় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ঢাকা শহরে আইন ও বিধি-বিধান লঙ্ঘন করে অপরিকল্পিতভাবে অনেক অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। ঢাকা শহরের ৯৯ শতাংশ অবকাঠামো নির্মিত হয়েছে নিয়ম অমান্য করে। রাজধানীর অধিকাংশ বাসা-বাড়িতে সেপটিক ট্যাংক নেই। আর এই সেপটিক ট্যাংক না থাকায় সুয়ারেজ লাইন খাল ও লেকে সরাসরি সংযুক্ত করে দেন। এতে করে খাল ও লেকের পানি দূষিত হয়ে মাছসহ অন্যান্য প্রাণী বাঁচে না। পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা জন্য সেপটিক ট্যাংক না রেখে কোনও বাসা-বাড়ি নির্মাণের অনুমতি দেওয়ার সুযোগ নেই। নকশা অনুমোদন দেওয়ার পূর্বে এসব বিষয়ে আরও সতর্ক থাকার জন্য রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (রাজউক) নির্দেশ দেন মো. তাজুল ইসলাম। প্রধান অতিথি আরও বলেন, মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ার কারণে ভোগ বেড়েছে। পাশাপাশি বৃদ্ধি পেয়েছে ময়লা-আবর্জনা। আগে একটি ব্যাগে অনেক নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দেওয়া হতো। এখন প্রতিটি উপকরণের সঙ্গে একটি ব্যাগ দেওয়া হয়। যার ফলে বাসা-বাড়িতে ময়লা বেশি হয়। স্বাভাবিকভাবেই এই ময়লা আবর্জনা একটি ব্যবস্থাপনার মধ্যে আনা চ্যালেঞ্জে পরিণত হয়েছে। আর এই চ্যালেঞ্জ শুধু আমাদের দেশে নয় পৃথিবীর অন্য দেশেও রয়েছে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কাজ করছে সরকার। খুব শিগগিরই ময়লা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যবস্থা বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
তিনি জানান, রাজধানী ঢাকাকে একটি আধুনিক, দৃষ্টিনন্দন ও বসবাসযোগ্য নগরী হিসেবে গড়তে উভয় সিটি করপোরেশন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেক দখল হওয়া খাল উদ্ধার করা হয়েছে। খালগুলো সংস্কার ও পুনঃখনন করে নৌ চলাচলের উপযোগী করার কাজ চলছে। এসব কাজ শেষ হলে শহরের অনেক পরিবর্তন আসবে। মন্ত্রী বলেন, সবাইকে আইন মেনে চলতে হবে। আইনই মানুষকে সভ্য করেছে। আইন সবার জন্য সমান। মন্ত্রী-এমপি, মেয়র এবং ক্ষমতাবানদের জন্য আলাদা কোনও আইন নেই। কাউকে ছাড় দিবেন আর কাউকে ধরবেন এটা হবে না। রাষ্ট্রকর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা যদি অর্পিত দায়িত্ব সাহসিকতার সঙ্গে পালন করেন তাহলে অবশ্যই পরিবর্তন আসবে। উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউনিসেফের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ সেলডন ইয়েট। এর আগে, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার সংক্রান্ত বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com