কেশব মহারাজের ঘূর্ণিতে ডারবানের কিংসমিড স্টেডিয়ামে লজ্জার রেকর্ড গড়লো বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ২৭৪ রান তাড়া করতে নেমে পঞ্চম দিনে মাত্র ৫৩ রানে গুটিয়ে গেছে টাইগারদের ইনিংস। ২২০ রানের বড় জয়ে সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা। সর্বোচ্চ ২৬ রান তিনে নামা নাজমুল হোসেন শান্তর। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪ রান করেন তাসকিন। রানের খাতাই খুলতে পারেননি সাদমান ইসলাম, মুশফিকুর রহীম, মেহেদী মিরাজ ও খালেদ আহমেদ। বাঁহাতি স্পিনার মহারাজ একাই নিয়েছেন ৭ উইকেট। সিমন হারমারের শিকার ৩ উইকেট। টেস্টে এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় দলীয় সর্বনিম্ন ইনিংস। ২০১৮তে নর্থ সাউন্ডে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৪৩ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। সেবার ১৮.৪ ওভার টিকেছিল তাদের ইনিংস। এবার টিকলো ১৯ ওভার। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এটি বাংলাদেশের দলীয় সর্বনিম্ন। ২০১৭তে পচেফস্ট্রুমে ৯০ রান করেছিল টাইগাররা। আর কিংসমিড স্টেডিয়ামেও এটি যেকোনো দলের সর্বনি¤œ স্কোর। ১৯৯৬ সালে চতুর্থ ইনিংসে ৬৬ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল ভারত। ডারবান টেস্টের পঞ্চম দিনে আজ মাঠে নামে বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা। ২৭৪ রানের লক্ষ্যে নেমে গতকাল চতুর্থ দিনের শেষ বিকালে ১১ রানে ৩ উইকেট খুইয়ে বসে বাংলাদেশ। পঞ্চম দিনের শুরুটাও হয় বাজে। কেশব মহারাজের করা দিনের প্রথম ওভারেই আউট মুশফিকুর রহীম। লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন মুশি। রিভিউ নিয়েও রক্ষা হয়নি। ৫ বল খেলে কোনো রান না করেই সাজঘরে ফিরে যেতে হয়েছে তাকে।
এক ওভার বিরতি দিয়ে ফের উইকেট পতন। এবারও হন্তাকর মহারাজ। উইকেটে এসে ৬ বল টিকলেন লিটন দাস। ২ রান করে শর্ট মিড-অনে দাঁড়ানো হারমারের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে আউট হন লিটন।
এরপর নিজের তৃতীয় ওভারে এসে মহারাজ বোল্ড করেন ইয়াসির রাব্বীকে (৫)। ১২তম ওভারে হারমারের বলে মেহেদী মিরাজের (০) বিদায়ে স্কোর দাঁড়ায় ৩৩/৭। ১৫তম ওভারে ১২ রান নিয়ে নিজেদের সর্বনিম্ন দলীয় রানের লজ্জা পেরিয়েছে বাংলাদেশ। এরপর ৫০ রানে হারমারের তৃতীয় শিকার হয়ে ফেরেন নাজমুল হোসেন শান্ত। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ (২৬ রান) স্কোরার তিনি। স্কোরবোর্ডে এক রান যোগ করে নবম ব্যাটার হিসেবে আউট হন খালেদ আহমেদ (০)। তার উইকেটটিও মহারাজের। এরপর তাসকিনকে (১৪) ফিরিয়ে সপ্তম সাফল্য দেখেন মহারাজ। প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার ৩৬৭ রানের জবাবে মাহমুদুল জয়ের সেঞ্চুরিতে ২৯৮ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে ২০৪ রানে অলআউট হয় প্রোটিয়ারা।
টেস্টে বাংলাদেশের সর্বনিম্ন ইনিংস, ৪৩ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ, নর্থ সাউন্ড ২০১৮, ৫৩ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা, ডারবান ২০২২, ৬২ বনাম শ্রীলঙ্কা, কলম্বো ২০০৭,৮৬ বনাম শ্রীলঙ্কা, কলম্বো ২০০৫,৮৭ বনাম পাকিস্তান, মিরপুর ২০২১।