ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের মানববন্ধনে নেতারা
দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নারী অধিকার ক্ষুণ্ন, হিজাব পরা নারীদের হেনস্তা, ব্যক্তি ও ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করে একটি দুষ্টচক্র সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুণ্ন করছে। ধর্মীয় অনুভূতির মতো স্পর্শকাতর বিষয়কে পুঁজি করে চক্রটি দেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্টের অপচেষ্টায় লিপ্ত। গতকাল সোমবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্টের প্রতিবাদ ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরের নেতারা এসব কথা বলেন।
বক্তারা বলেন, পোশাক ও ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ অসাংবিধানিক আচরণ। দেশের হাজার বছর ধরে চর্চিত সংস্কৃতি বাদ দিয়ে পশ্চিমা ও ব্রাহ্মণ্যবাদী সংস্কৃতি বাজারজাত করতে কুচক্রী মহল আদাজল খেয়ে মাঠে নেমেছে। টিপ কেলেঙ্কারি, মুন্সিগঞ্জে বিজ্ঞানের ক্লাসে ধর্ম অবমাননা, নওগাঁয় হিজাব পরায় ছাত্রীদের বেত্রাঘাত, কবি নজরুল কলেজে অধ্যক্ষ কর্তৃক তারাবির নামাজে নানা নিষেধাজ্ঞা, ঢাবির প্রেজেন্টেশনে প্রফেসর কর্তৃক হিজাব পরতে বাধা দেওয়া ও ছাত্রীরা হিজাবের অধিকার দাবি করায় ছাত্রলীগের বিদ্বেষমূলক প্রতিক্রিয়া বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার এক গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। বিশ্ববিদ্যালয়কে মুক্তচিন্তার উন্মুক্ত প্রাঙ্গণ দাবি করে সংগঠনটির নেতারা আরও বলেন, কোনো আদর্শ ও মতকে দমিয়ে রাখা বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিবহির্ভূত। যে বিশ্ববিদ্যালয়ে কার্ল মার্কস, লেনিন, মাও সেতুং চর্চা হতে পারে, সে বিশ্ববিদ্যালয় নবী মুহাম্মদ (সা.) ও ইসলামও চর্চা হবে। তা কেউ বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না। এ সময় বক্তারা সাম্প্রতিক ঘটনাসমূহের সুষ্ঠু তদন্ত ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টে তৎপর দুষ্কৃতকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর পূর্ব শাখার সভাপতি সাব্বির আহমেদের সভাপতিত্বে ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমানের সঞ্চালনায় বিক্ষোভে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক মুহা. মাহবুব হোসেন, নগর দক্ষিণ সভাপতি আহসান ফয়েজী, নগর পশ্চিম সভাপতি এস এম ফরহাদ হুসাইন, নগর উত্তর সভাপতি জামশেদ ও কবি নজরুল কলেজ সভাপতি আইয়ূব আলী প্রমুখ।