সৌদি বাদশার নিজস্ব সাহায্য সংস্থা কিং সালমান হিউম্যানেটেরিয়ান এইড এন্ড রিলিফ সেন্টার সংক্ষেপে “কিং সালমান সেন্টার” এর অর্থায়নে ও লোকাল পার্টনার দেশের শীর্ষ স্থানীয় এনজিও সংস্থা আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় কক্সবাজার জেলার উখিয়া কুতুপালং এ বলপ্রয়োগে বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক এবং শরণার্থী শিবিরের আশেপাশে ও বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ২৩ হাজার ২ শত দুঃস্থ দরিদ্র পরিবারের মাঝে সমপরিমাণ সংখ্যক খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। দুইদিন ব্যাপী খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম শুরুর প্রাক্কালে কক্সবাজারে এক হোটেলে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজারের পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে কিং সালমান সেন্টারের অর্থায়নে পরিচালিত খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম তুলে ধরে আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল আলা মোহাম্মদ হোছামুদ্দিন বলেন, “রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং বাংলাদেশী দরিদ্র জনসাধারণের জন্য কিং সালমান সেন্টার ত্রাণসহ বিভিন্ন মানবিক ও আবাসন সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে রোহিঙ্গা শরণার্থী ও বাংলাদেশী হতদরিদ্রদের জন্য প্রায় একশত কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। কিং সালমান সেন্টার বিশ্বের বৃহত্তম মানবিক সহায়তা প্রদানকারী সংস্থা। এটি সারা বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশ এবং অভাবী মানুষের পাশে রয়েছে। ড. হোছামুদ্দিন আরো বলেন, কিং সালমান সেন্টার বল প্রয়োগে বাস্তুচ্যুত মায়ানমারের নাগরিকদের জন্য ৫০০টি ঘর নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে এবং আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ স্থানীয় অংশীদার হিসাবে এই বাড়িগুলো নির্মাণ করবে। উপস্থিত ছিলেন দাতা সংস্থা কিং সালমান সেন্টারের প্রকল্প পরিচালক ফাহাদ আল মাযী, সিনিয়র কর্মকর্তা ইমাদ আবদুস সালাম এবং ওমর আল খতীব, আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশনের কার্যনির্বাহী সদস্য মুহাম্মদ সালামত উল্লাহ, ফাউন্ডেশনের প্রকল্প পরিচালক (উন্নয়ন) মোয়াজ্জেম হোসেন চৌধুরী শাওন, মুহাম্মদ ওয়ায়েজ, ফাউন্ডেশনের চীফ একাউন্ট্যান্ট বোরহান উদ্দিন, আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশনের বিদেশ বিভাগের পরিচালক মাওলানা মুহাম্মদ ইসহাক প্রমুখ।