শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক অসাম্প্রদায়িক ও মানবতাবাদী নেতা ছিলেন বলে উল্লেখ করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, আজকের বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে আছে। সেই বিষবাষ্প থেকে আমরা বাংলাদেশকে এখনো উদ্ধার করতে পারিনি। গতকাল বুধবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ৮টায় অবিভক্ত বাংলার প্রথম প্রধানমন্ত্রী শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার লড়াই চলছে। আজকের এ দিনে আমরা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার শপথ করছি।
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘রাজনৈতিক গুরু’ ছিলেন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেরে বাংলা সাধারণ মানুষ, খেটে খাওয়া মানুষের অত্যন্ত আপনজন ছিলেন। বাংলার কৃষক সমাজকে অত্যাচার-শোষণ থেকে রক্ষা করেছেন। বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন সরকারি ছুটি তিনি শুরু করেছেন। এসময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল, আফজাল হোসেন, আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক প্রকৌশলী আব্দুস সবুর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের ৬০তম মৃত্যুবার্ষিকী বুধবার। ১৯৬২ সালের ২৭ এপ্রিল ৮৮ বছর বয়সে ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি। শিক্ষানুরাগী ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জীবন্ত প্রতীক হিসেবেও ইতিহাসের পাতায় তার রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ স্থান। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায় তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।
শেরে বাংলার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। ১৮৭৩ সালের ২৬ অক্টোবর ঝালকাঠি জেলার রাজাপুরের সাতুরিয়া গ্রামের মিঞা বাড়িতে জন্ম শেরে বাংলার। বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে তিনি অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর, যুক্তফ্রন্ট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী, কলকাতা সিটি করপোরেশনের প্রথম মুসলিম মেয়র এবং আইনসভার সদস্যসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনেও তার অবদান ছিল। ১৯৪০ সালে তিনি ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাব উত্থাপন করেন।