প্রয়াত ক্রিকেটার মোশাররফ হোসেন রুবেলের কবর স্থায়ীভাবে সংরক্ষণে দ্রুতই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর বারিধারায় রুবেলের বাড়িতে তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। মেয়র বলেন, ‘আমি ওমরা পালনে পবিত্র নগরি মক্কায় অবস্থানকালীন রুবেলের মৃত্যু সংবাদ পেয়েছি এবং পরিবারের চাওয়ায় বনানী কবরস্থানে রুবেলের মরদেহ দাফনের ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছি।
রুবেলের কবর স্থায়ীভাবে সংরক্ষণের প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘রুবেলের কবরটি সংরক্ষণের জন্য তার স্ত্রীর যে আকুতি, আমি মক্কায় থাকাকালীন সেটি জানার সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছি। আজ আমি রুবেলের পরিবারের সদস্যদের সাথে সরাসরি সাক্ষাৎ করে জানাতে এসেছি, রুবেলের কবরটি স্থায়ীভাবে সংরক্ষণে দ্রুতই সকল ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ ঈদের পরেই বোর্ড সভায় কবরটি স্থায়ীভাবে সংরক্ষণের বিষয়টি অনুমোদন করে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হবে বলে জানান মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
এসময় রুবেলের স্ত্রী চৈতি ফারহানা তার আবেদনে সাড়া দেওয়ায় এবং তার পরিবারের সদস্যদের সাথে সাক্ষাৎ করতে যাওয়ায় ডিএনসিসি মেয়রকে ধন্যবাদ জানান। এসময় মেয়র আতিক রুবেলের শিশুপুত্র রুশদানের সাথে গল্প করে কিছু সময় কাটান এবং তাকে কিছু উপহার সামগ্রী প্রদান করেন।
সাক্ষাৎ শেষে মেয়র উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন। তিনি বলেন, ‘রুবেলের ছেলে রুশদান রুবেলের শূন্যস্থান পূরণ করে এই জাতির জন্য অবদান রাখবে বলে আমি আশা করি। আমি এই পরিবারের একজন সদস্যের মতো অভিভাবক হিসেবে সবসময় পাশে থাকবো এবং সিটি করপোরেশন এই পরিবারের যেকোনও প্রয়োজনে সহযোগিতা করবে।’ রুবেল বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার হিসেবে বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকাকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিয়েছেন উল্লেখ করে মেয়র আতিক বলেন, ‘রুবেল খেলাধুলার পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্লু এবং গোল্ড মেডেল অর্জনসহ অনেক পুরস্কার অর্জন করেছে। সর্বোপরি রুবেল একজন নম্র-ভদ্র ও ভালো মানুষ ছিল। তার মৃত্যুতে আমরা বাংলাদেশের একটি সম্পদ হারিয়েছি।’