ঘুর্ণিঝড় ‘আসনি’ আসার আতঙ্কে সবাই যখন নিজ নিজ ক্ষেতের ধান কেটে ঘরে তুলছেন তখন সমস্যায় পড়েন এক প্রতিবন্ধী। নিজ জমির ধান নিজেও কাটতে পারেন না, কোথাও শ্রমিকও খুঁজে পাননা। বিষয়টি মোবাইল ফোনে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এডভোকেট বিজন বিশ্বাসকে জানানোর পরে তিনি লোকজন সাথে নিয়ে ওই প্রতিবন্ধীর ১বিঘা জমির পাকা ধান কেটে বাড়ি তুলে দিয়েছেন। এডভোকেট বিজন বিশ্বাস গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার কলাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান। রবিবার সকালে তিনি তার ইউনিয়নের হিজলবাড়ি গ্রামের প্রতিবন্ধী মনিমোহন বাড়ৈর ১বিঘা জমির ধান স্বেচ্ছাশ্রমে কেটে বাড়ি তুলে দেন। এ খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেরদৌস ওয়াহিদ ও কৃষি অফিসার নিটুল রায় প্রতিবন্ধী মনিমোহন বাড়ৈর ক্ষেতে গিয়ে উপস্থিত হন। ইউপি চেয়ারম্যান এডভোকেট বিজন বিশ্বাস বলেন, ঘুর্ণিঝড় ‘আসনি’ আসার আতঙ্কে সকলে যখন নিজ নিজ জমির বা ক্ষেতের পাকা ধান কাটতে ব্যস্ত তখন প্রতিবন্ধী মনিমোহন বাড়ৈ কোন ভাবেই তার জমির ধান কাটতে পারছিলেন না। খবরটি আমাকে জানানোর পরে আমি আমার ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দদেরকে সাথে নিয়ে মনিমোহন বাড়ৈর ১বিঘা জমির ধান কেটে বাড়ি তুলে দিয়েছি। প্রতিবন্ধী মনিমোহন বাড়ৈ বলেন, আমার ধান কাটার ক্ষমতা নেই। অন্য দিকে ধান কাটার জন্য এলাকায় লোকও পাচ্ছিলাম না। বিষয়টি আমি আমাদের চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি লোকজন নিয়ে এসে আমার জমির ধান কেটে দিয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান এডভোকেট বিজন বিশ্বাস প্রতিবন্ধী মনিমোহন বাড়ৈর জমির ধান কেটে দিয়ে একটি মহৎ কাজ করেছেন। এ সময়ে এভাবেই উপজেলার প্রতিটি এলাকার জনপ্রতিনিধিসহ সকলের ধান কাটার জন্য এগিয়ে আসা উচিৎ।