বর্তমানে ছাদ বাগান দেশে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। অধিকাংশ শহরগুলোর বাড়ি ও অফিসের ছাদের দিকে তাকালেই এধরণের বাগান দেখা যায়। অবশ্য এসব বাগানের বেশিরভাগই অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে। তবে গংগাচড়া উপজেলা প্রকৌশল ভবন এখন ফুলের হাসিতে হাসছে। উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ মজিদুল ইসলাম অফিসের ছাদে সুপরিকল্পিতভাবে ফুল, সবজী ও নানা জাতের ফলের চাষ করে সাড়া ফেলেছেন। প্রথমে তিনি ১০-১২ প্রকার গোলাপ, ল্যান্টিনা,গন্ধরাজ, দোলনচাঁপা, রাবার বট, ৫-৬ প্রকার পাতা বাহার, বাস ঝাড়, নারিকেল পাম্প, মুসুন্ডা, এলোভেরা ও গাদা ফুলের চারা রোপণ করেন। পরবর্তীতে সবজী হিসেবে তিনি বেগুন ৩-৪ প্রকার মরিচ, ঢেরস, কুমড়া, করলা, ঝিংগা, পুই, লেবু, দুধকুশি, সিম এবং লিচু, আম, পেয়ারা, লটকন, পেপে ও মালটা ফলের চারা রোপণ করে বাগান সম্প্রসারনের মাধ্যমে এর উৎপাদিত পণ্য অফিসের চাহিদা মিটিয়ে তিনি স্বজন ও বন্ধু বান্ধবের মধ্যে বিতরণ করছেন। ছাদ বাগানটিতে তিনি নিজেই পরিচর্যার কাজ নিজেই করেন। অফিস কমপ্লেক্সের অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারী বাগান দেখতে এলে তাদেরকে বাগান করার কৌশল শিখিয়ে কিছু ফল- সবজীর চারা দিয়ে দেন। বাগানের দর্শকরা তার প্রসংশায় পঞ্চমুখ। তাঁরা বাগান করার ইচ্ছাও ব্যক্ত করেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং উপজেলার অন্যান্য কর্মকর্তাগণ তার বাগান দেখে মুগ্ধ হয়েছেন। প্রকৌশলী মজিদুল ইসলাম বলেন ছাদে বাগান করা সাধারণ বাগানের মতোই সহজ। শুধু সারের মাত্রা হবে সুষমহারে, সময়মত পরিচর্যা আর সেই সাথে কিছু পয়সা খরচ করার মনোভাব থাকতে হবে। তিনি শহরবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, যেহেতু শহরের প্রতিত জমির অভাব তাই বিকল্প উপায় হিসেবে ছাদকে কাজে লাগিয়ে বাগান করাযায়। এবং এবাগানের মাধ্যমেই পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত ফল- সবজী অন্যদের বিতরণ করা যায়। এতে শুধু মনের আনন্দই বিকশিত হয়না অবসর সময়টুকু স্বাচ্ছন্দে কাটানো যায়। ছাদ বাগান করার মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রী, বেকার যুবক যুবতীর বাড়তি কিছু টাকা আয় করা সম্ভব। পাশাপাশি অসৎসঙ্গ ত্যাগকরে নির্মল আনন্দে সময় কাটানো যায়। এখন প্রকৌশলী মজিদুল ইসলাম উপজেলার সকল কর্মকর্তা কর্মচারীর কাছে অনুপ্রেরণার উৎস।