শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩০ পূর্বাহ্ন

এবার জিআই সনদ পেল বাগদা চিংড়ি

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় বুধবার, ১৮ মে, ২০২২

বাংলাদেশের বাগদা চিংড়ি জিআই সনদ (ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের স্বীকৃতি) পেয়েছে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের রেজিস্ট্রার ও অতিরিক্ত সচিব জনেন্দ্র নাথ সরকার আজ বুধবার প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। জনেন্দ্র নাথ সরকার প্রথম আলোকে বলেন, ‘স্বীকৃতির বিষয়টি মোটামুটি নিশ্চিত হয়েই ছিল। কোনো দেশ এ বিষয়ে আর আপত্তি করেনি। তাই বাগদা চিংড়ি এখন বাংলাদেশের। আমরা এটি মৎস্য অধিদপ্তরে পাঠিয়ে দিয়েছি।’ জনেন্দ্র নাথ সরকারের স্বাক্ষর করা স্বীকৃতি সনদে বলা হয়েছে, ‘প্রত্যায়ন করা যাচ্ছে, ভৌগোলিক নির্দেশক নিবন্ধন বইতে মৎস্য অধিদপ্তরের নামে ২৯ ও ৩১ শ্রেণিতে জিআই-১১ নম্বরে বাংলাদেশের বাগদা চিংড়ি পণ্যের জন্য ৪ জুলাই ২০১৯ থেকে নিবন্ধিত হলো।’
শিল্প মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ২০১৯ সালের মে মাসে বাগদা চিংড়ির জিআই সনদ পেতে আবেদন করেছিল বাংলাদেশ। গত বছরের ৬ অক্টোবর গেজেট এবং আন্তর্জাতিক জার্নালে বিষয়টি প্রকাশ করে ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস বিভাগ। নিয়ম অনুযায়ী, জার্নালে প্রকাশের দুই মাসের মধ্যে কেউ আপত্তি না করলে সেই পণ্যের জিআই সনদ পেতে আর কোনো বাধা থাকে না। গত বছরের ৬ ডিসেম্বর এ বিষয়ে আপত্তি দেওয়ার শেষ দিন ছিল। এই সময়ের মধ্যে অন্য কোনো দেশ এতে আপত্তি না করায় প্রথম আবেদনকারী হিসেবে বাংলাদেশ জিআই সনদ পেয়ে যায়। এ কারণে বাগদা চিংড়ির একক স্বত্ব এখন শুধু বাংলাদেশের।
কোনো একটি দেশের নির্দিষ্ট ভূখ-ের মাটি, পানি, আবহাওয়া ও সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা এবং সেখানকার জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি যদি কোনো একটি পণ্য উৎপাদনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, তাহলে সেটিকে সেই দেশের জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। দেশের প্রথম ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (জিআই) হিসেবে নিবন্ধন পায় জামদানি। এরপর একে একে ঢাকাই মসলিন, রাজশাহীর সিল্ক, রংপুরের শতরঞ্জি, নেত্রকোনার বিজয়পুরের সাদা মাটি, দিনাজপুরের কাটারিভোগ, বাংলাদেশি কালিজিরা, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ক্ষীরশাপাতি আম, ইলিশ জিআই সনদ পায়। বাগদা চিংড়ির জিআই সনদ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ায় খুশি বাংলাদেশের চিংড়ি ব্যবসায়ীরা। বাংলাদেশ হিমায়িত মৎস্য রপ্তানিকারক সমিতির (বিএফএফইএ) জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি এম খলিলুল্লাহ আজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাগদা চিংড়ি জিআই সনদ পাওয়ায় দুটো ক্ষেত্রে আমাদের সুবিধা হবে। একটি হলো, বিশ্ববাজারে আমাদের নিজস্ব পণ্য হিসেবে এখন আমরা বেশি মূল্য পাব। আর দ্বিতীয় হলো, এখন এ খাতে বিদেশি বিনিয়োগ হবে।’




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com