চরফ্যাশন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের (অবঃ) সহকারী শিক্ষক সুভাস চন্দ্র রায়ের কন্যা। বরিশাল সরকারি বিএম কলেজের গণিত বিভাগের মাষ্টার্স শেষ বর্ষের ছাত্রী শাশ্বতী রায় চৈতি হত্যার রহস্য উদঘাটনের জন্যে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। গতকাল চরফ্যাশন প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, পিতা সুভাস চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, ৫ মার্চ/২২তারিখে দিবা গত রাতে আমার মেয়ে শাশ^তী রায় চৈতির তার শশুর বাড়ীর কক্ষে ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়। আমাদের ধারনা মতে তাকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। ওই সময় আমাদের অজ্ঞতার সুযোগে চরফ্যাশন থানার পুলিশ প্রথম থেকেই আসামী পক্ষে দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আত্মহত্যা বলে প্রমাণীত করার চেষ্টা করতে থাকে। আমার কাছ থেকে আত্মহত্যার অপমৃত্যুও মামলায় স্বাক্ষর নেয়া হয়। মামলার তদন্ত কারী কর্মকর্তা ওসি তদন্ত রিপন শাহা মামলার স্বাক্ষী বাদীর পক্ষের কাউকে না রেখে আসামীর ভাই শিশির মজুমদারসহ স্বামীর বন্ধ ুবান্ধবের নাম রাখা হয়েছে। পুলিশের সুরৎ হাল রিপোর্ট ও ময়না তদন্ত রিপোর্ট পুনঃরায় করার জন্যে দাবী জানানো হয়েছে। মামলার বাদী চৈতির পিতা মামলিিট পিবিআই বা সিআইডি তদন্তের দাবী জানান। এই সময় উপস্থিত ছিলেন, চৈতীর মা মিঠু রাণী সরকার, বোন শুশমিতা রানী সহজাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকার সংবাদ কর্মীগন উপস্থিত ছিলেন। চরফ্যাশন থানার উপ-পরিদর্শক ও চৈতি রায় আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলার তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেছেন-ময়নাতদন্ত রিপোর্টে কোন ত্রুটি থাকলে তার দায় ময়নাতদন্তের সাথে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের নিতে হবে। পুলিশের দিকে পাল্টা অভিযোগ তুলে ভোলা সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা.মোহাম্মদ আবদুল হাকিম বলেছেন, ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো ব্যক্তির মৃত্যুর কারণ হিসেবে বিষক্রিয়া কিংবা চেতনানাশক প্রয়োগের কোন ইঙ্গিত পুলিশ রিপোর্টে ছিল না। পুলিশ রিপোর্টের ত্রুটির কারণেই ময়নাতদন্তের সংশ্লিষ্টরা ভিসেরা রিপোট্র্ করানোর সুযোগ ছিল না। পুলিশ রিপোর্টে পারিপার্শ্বিক অবস্থা, সংক্ষুদ্ধ ব্যক্তি পরিবার কিংবা পাড়া প্রতিবেশীর অভিযোগ গুলো আমলে নিতে হয় এবং সে অনুযায়ী ইঙ্গিতসহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়। এদিকে চৈতীর বাবা বলেন তার মেয়ের সঠিক বিচারের আশায় চৈতির লাশটি হিন্দু বিধান মতো লাশ কাষ্ট না করে সমাধি করে রাখেন কিন্ত চরফ্যাসন থানা থেকে পাঠানো পুলিশ রিপোর্টে সে রকম কোন ইঙ্গিত ছিল না। বরং থানা থেকে পাঠানো ওই রিপোর্টে আত্মহত্যার ধরন নির্দিষ্ট করা ছিল। সরকারি বিএম কলেজের গণিত বিভাগের মাষ্টার্স শেষ বর্ষের ছাত্রী শাশ্বতী রায় চৈতি এই ব্যপারে চৈতীরশশুর উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সমীর চন্দ্র মজুমদার বলেন, মেয়ে টি ছিল বদমেজাজী তার স্বামী শাওন তাকে বিয়ে বাড়িতে না নেওয়া সে ক্ষোভে অভিমানে নিজে গলায় ফাস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।