গাজীপুরের কালীগঞ্জে সম্প্রতি ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলমসহ বিভিন্ন এলাকার খামার থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকার গরু চুরি হয়েছে। সোমবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সরজমিনে গিয়ে যানা যায়, জাংগালিয়া ইউনিয়নের বরাইয়া গ্রামের ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর খানের প্রায় ৪ লক্ষ টাকার মূল্যের ১টি গাভী, সিরাজ খানের ২টি, সরিষারচালা গ্রামের রুবেল খানের ৪ টি, আল আমিন খান ৩টি, আজমতপুর গ্রামের মামুন আকন্দের ৫টি, শহিদুল্লাহ্ মোল্লা ৩টি, খাইরুল ইসলাম শেখের ১টি, আবু তাহের খান ২টি, হাফিজুল্লাহ্ খান ২টি, রতন খান ২টি, জাংগালিয়া গ্রামের আনোয়ার হোসেন খান ২টি, আমানউল্লাহ্ পালোয়ান ২টি, বাঙ্গালগাঁও গ্রামের সামসুদ্দিন ফকিরের ১টি, মোয়াজ্জেম হোসেনের ৪টি, মহসিনের ২টি, আফজাল ফকিরের ২টি, আলামিন আকন্দের ১টি, আলী হোসেনের ১টি, আলতাফ হোসেন রাজের ১টি, সারফুদ্দিন শেখের ১টি গরুসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বেশ কয়েকটি খামার থেকে প্রায় অর্ধশতাধিক গরু চুরি হয়েছে। যাহার মূল্য প্রায় দেড় কোটি টাকা। যার ফলে নিঃস্ব হয়েছেন বলে জানিয়েছেন খামারীরা। এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম খান জানান, প্রতিদিনের ন্যায় শনিবার রাতে গরুর খাবার দিয়ে ঘুমিয়ে পরি। পরে রাত আনুমানিক ৩ টার দিকে গরুর ডাক-চিৎকার শুনে গোয়ালঘরে গিয়ে দেখি আমার প্রায় ৪ লক্ষ টাকার গাভী গরুটি নিয়ে যায় চোরেরা। একাধিক ভুক্তভোগী খামারী বলেন- বর্তমান সময়ে গরু লালন-পালন করা অনেক কষ্টের ব্যাপার। সারাদিন কাজ করে রাত জেগে গরু পাহাড়া দিতে হয়। পুলিশের নিয়মিত টহল না থাকায় প্রতিনিয়ত ঘটছে একের পর এক চুরির ঘটনা। যা খামারিদের জন্য দুঃখজনক। আমরা অনেকই বিভিন্ন ব্যাংক ও এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে গরুর খামার করেছি। গরুর দুধ ও গরু বিক্রি করে সাবলম্বী হওয়ার আশায়। এখন আমরা নিঃস্ব হয়ে ঋণের বোঝায় দিশেহারা। তাই আইন শৃঙ্খলার সু-দৃষ্টি কামনা করছি। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আসসাদিকজামানের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিক বার ফোন করেও তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। এ বিষয় কালীগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত যোবায়ের বলেন- আমরা নিয়মিত টহল দিচ্ছি। এখন থেকে পুলিশের টহল বাড়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।