বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড.মোঃ সাদেকুল আরেফিন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপেশকতার জন্য আজ আমাদের প্রতিবন্ধীরা যেমন সুনাম অর্জন করছেন তেমনি তারা নিজেরা বিষেশ দক্ষতা দেখিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের জন সংক্ষার মধ্যে ১০ শতাংশ প্রতিবন্ধী রয়েছে। এখানে প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে শিক্ষা,আবাসনের মত সমস্যা কমিয়ে আনা গেলে ততই দেশ আরো এগিয়ে যাবে। বর্তমান সরকার প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রথম প্রর্যায়ে ৭শত ৫০ টাকা করে ভাতা কার্যক্রম শুরু করেছে আসলে এই টাকায় কিছু না তবুও প্রতিবন্ধীদের জন্য একটা মর্যদার স্বিকৃতি দিয়েছে। সরকার ২০১৩ সাল থেকে প্রতিবন্ধীদের জন্য একটি সু-রক্ষা আইন করে দেওয়ার পাশাপাশি তাদের সু-রক্ষার জন্য বিশেষ গুরুত্ব ও সামাজিক নিরাপত্তার দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন এখানে সরকারের একার পক্ষে অনেক কিছুই করার সম্ভব হয়না এক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি বে-সরকারী এদের জন্য উদ্যোগ নিয়ে সকলের এগিয়ে আসা উচিত। এসময় তিনি কম্পিউটার কাউন্সিলর কর্তৃপক্ষকে বলেন দেশে প্রায় কোটি ৬০ লক্ষ প্রতিবন্ধী জন সংক্ষা রয়েছে বলে প্রচারিত আছে। এখানে জাতীয়ভাবে সঠিক সংক্ষা নির্ধারন করার একটি ডাটাবেজ তৈরী করে এদের সংক্ষা নিশ্চিত করার জন্য আহবান জানান। একই সাথে দেশে প্রতিবন্ধীদেরকে শিক্ষা,কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বি নিশ্চিত করা গেলে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার সেই স্বপ্ন গড়ে উঠবে। বুধবার (২৫ই) মে সকালসাড়ে ১০টায় নগরীর বৈদ্যপাড়া রোডস্থ বরিশাল বিভাগীয় সরকারী গ্রন্থাগার মিলনায়তন সভা কক্ষে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল বরিশাল আঞ্চলিক কার্যলয়ের আয়োজনে“তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে এনডিডি সহ সব ধরনের প্রতিবন্ধী ব্যাক্তির ক্ষমতায়ন প্রকল্পের আওতায় “তথ্য প্রযুক্তর মাধ্যমে প্রতিবন্ধী ব্যাক্তিদের সক্ষমতা উন্নয়নে আইসিটি বিভাগ” আয়োজিত শীষর্ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথাগুলো বলেন। কম্পিউটার কাউন্সিল বরিশাল আঞ্চলিক কার্যলয়ের (ভারপ্রাপ্ত) পরিচালক মোহাম্মদ জসীম এর সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে এখানে আরো বক্তব্য রাখেন বরিশাল বজ্রমোহন (বিএম কলেজ অধ্যক্ষ) প্রফেসর ড. গোলাম কিবরিয়া, বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল শিশু বিভাগ প্রধান ডাঃ এম, আর তালুকদার মুজিব, বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরিচালক প্রফেসর মোয়াজ্জেম হোসেন, বরিশাল রেঞ্জ ডি.আই.জি কার্যালয়ের পুলিশ সুপার নুরুল আমিন। এখানে মুক্ত আলোচনায় প্রবিন্ধীদের নিয়ে বক্তব্য রাখেন সহকারী পুলিশ সুপার রাসেল আহমেদ, সিরাজুম মুনির টিটু,দৃষ্টি প্রবিন্ধী বদিউল আলম। এখানে প্রতিবন্ধীরা দাবী জানিয়ে বলেন আমরা কারো কাছে সাহায্য চাই না। আপনারা আমাদের প্রতি একটু সহমর্মিতা ও সহযোগীতা কামনা করি। আমরা আমাদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পারি তার জন্য হয়রানি ছাড়া নিদিষ্ট একটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেওয়ার পাশাপাশি আমাদের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা গ্রহন করার ব্যবস্থা করে দেওয়ার আহবান জানান। বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল ২০১৫ সাল থেকে প্রতিবন্ধীদের নিয়ে চাকুরী মেলা আয়োজন করার মধ্যে দিয়ে এপর্যন্ত ৮শত ১০জন প্রতিবন্ধীকে চাকুরীর ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। ২০১৭ সাল থেকে ২০২২ সাল শেষে এউ প্রোজেক্টের মেয়াধ শেষ হয়ে গেলে ৩ হাজার প্রতিবন্ধীদের মাঝে ল্যাবটব প্রদান হবে বলে জানান তারা। সেমিনার অনুষ্ঠানের শুরুতে উপস্থনাপনা ও মূখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন (বঢ়ফিরপঃ) উপ প্রকল্প পরিচালক মোঃ গোলাম রব্বানী। সেমিনারে বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে সরকারী-বেসরকারী কর্মকর্তা সহ বিভিন্ন প্রতিবন্ধী ও অভিভাবক সহ দেড় শতাধিক সদস্য অংশ গ্রহন করে।