সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় শিক্ষা, চিকিৎসা, বসতি,আবাদি জমি, রাস্তা ঘাট, চিরনিদ্রায় শায়িত কবরস্থান,ধর্মীয় ও তাঁত শিল্প সমদ্ধ এলাকা জুড়ে চলছ যমুনার ভয়াবহ নদীর ভাঙ্গন তান্ডব নীলায় চরসলিমাবাদ শত বছরের কবরস্তান। চৌহালীর মানুষ ডিজিটাল বাংলাদেশ চায়না, রিমোট উপজেলা নয়, ত্রাণ, রিলিপ, ভিজিএফ, ভিজিডি, বিধবা, বয়স্কভাতা, শিক্ষা ভাতা, চরভাতা চাই না। আমরা চাই ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী বেরীবাধ, চায়না ও দৃষ্টিনন্দন সড়কপথ দেখতে চাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি কোথায়, বিঙান ও প্রযুক্তির ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং উন্নয়নের অগ্রগতিতে মধ্য আয়ের বাংলাদেশে আজ আমরা যা-যা-বর খোলা আকাশের নীচে মানবেতর জীবনযাপন করছি, বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ছেলে মেয়ের পড়ালেখা। কোথায় ডিজিটাল, কোথায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, কোথায় উন্নয়নের মহাসড়ক ও গ্রাম হচ্ছে শহর, এসব বাণির কোন কিছুই চৌহালীতে নেই। যার পায়ের নিচে নেই মাটি,অন্যের জায়গা ও ঘর দখল করে চলছে উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসনের কার্যক্রম। উপজেলা পরিষদ এর জমি হস্তান্তর ও একাউর করা আছে নেই টেন্ডার, নদী ভাঙ্গন রোধে প্রকল্প আছে নেই বাস্তবায়ন এটাই চৌহালী উপজেলার বাস্তবচিত্র। দেখার কেউ নেই ভুক্তভোগী জনসাধারণের মন্তব্য। গত এক সপ্তাহ ভাঙনে বিলীন হয়েছে অর্ধ শতাধিক ঘরবাড়ি ও বহু ফসলি জমি এবং প্রকৃতিক জীবকুল ও সম্বল হারিয়ে কাঁদছে মানুষ। যমুনার ভাঙনে চৌহালী দক্ষিন এলাকাবাসির ঘুম হারাম এবং ভাঙন কেড়েছে বেচে থাকার সম্বল ও আনন্দ। যমুনার প্রচন্ড খড় স্রোতের কারনে প্রতিদিনই নদীতে বিলীন হচ্ছে বহু মানুষের ঘরবাড়ি। ৫ বছর ধরে চৌহালীর দক্ষিণ যমুনার ভাঙন হাজার হাজার ঘরবাড়ি, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, তাঁত কারখানা নদীত বিলীন হচ্ছে। হুমকির মুখে পরেছে চরসলিমাবাদ শত বছরের কবরস্থান, চৌবাডিয়া কারিগরি কলেজ, পয়লা সপ্রাবি, পয়লা বহুমুখি উচ্চ বিদ্যালয়সহ ২০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আর কত বাড়ি ঘর নদীর পেটে গেলে স্থায়ী বাঁধ নির্মান কাজ শুরু হব। প্রশাসন ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় পরিদর্শন করে আশ্বস্ত করেন, পাউবা কর্মকর্তারা শুধু আশ্বাস দিয় যাচ্ছেন। ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী কোন পদক্ষেপ নেই আছে সান্ত¦না। এখন আর কালক্ষেপন নয় এলাকার জাতীয় সংসদ আলহাজ্ব আব্দুল মমিন মন্ডল, পানি সম্পদ মন্ত্রালয়র সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট প্রাণর দাবি আমরা ত্রাণ চাই না বেরীবাধ চাই। প্রায় ৩০টি গ্রামসহ হাজার মানুষর বসত ভিটা ও ফসলি জমি রক্ষায় স্থায়ী বাঁধ চায়। বাধ দিন আমাদের বাঁচান, শিক্ষাসহ সকল বসতি ও বাজার কবরস্থান রক্ষাকরে মাথা গোজার ঠাই করে দিন। আমরা বাঁচতে চাই, আমরা পডতে চাই,আমাদের বসতভিটা ও শিক্ষা অঙ্গন বাঁচান। একটি বাধই বদলে দিতে পারে চৌহালী বাসির ভাগ্য।