ঢাকা শহরের প্রতিটি সড়ক সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে। এতে করে শহরের ট্রাফিক ও ক্রাইম নিয়ন্ত্রণসহ প্রায় সব কাজে বিশেষ সুবিধা পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
গতকাল শনিবার (২৮ মে) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত ‘নিরাপদ সড়ক চাই’র নবম মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ঢাকাকে সেইফ সিটি করার জন্য আমরা উদ্যোগ নিচ্ছি। ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসবো পুরো ঢাকা। যদি আমরা পারি, এরপর চট্টগ্রাম ও রাজশাহী করবো। সেই লক্ষ্যে কাজ করছি। তাহলে অনেক জায়গায় আমরা সুবিধা পাবো। বিশেষ করে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, ক্রাইম নিয়ন্ত্রণসহ সবকিছুতেই সুবিধা পাবো। আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, নিরাপদ সড়ক সবাই চায়, আমিও চাই। এজন্য আমাদের মনমানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। ট্রাফিক আইন মানতে হবে। সিটবেল্ট ব্যবহার ও সড়কে গতি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আমরা অনেকেই তা করি না। আইন মেনে চলার প্রবণতা নিয়ে কাজ করতে হবে। পুলিশ দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করে আমরা জেলখানায় ঢুকালাম, জরিমানা করলাম, কিন্তু তার চেয়ে বেশি দরকার আমাদের সবার সচেতনতা।
মন্ত্রী বলেন, আমরা যদি সচেতন হই, আইন মেনে চলি, যদি বাস্তবতার নিরিখে কাজ করি, তবেই সফলতা আসবে এবং অবশ্যই আমরা তা পারবো। সবাই সচেতন হলে দুর্ঘটনা কমবে ও মৃত্যুহার কমবে। নিরাপদ সড়ক চাই’র প্রস্তাবিত ১১১ দফা দাবি বাস্তবায়নে গঠিত টাস্কফোর্সের কাজ চলমান জানিয়ে তিনি বলেন, করোনার কারণে আমরা কয়েকটি সভা করতে পারিনি। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক তাই আশা করছি দ্রুত কাজ এগিয়ে নেওয়া যাবে। শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী বলেন, সড়কে দুর্ঘটনা কমাতে সবার আগে মানসিকতার পরিবর্তন আনতে হবে। যে যানবাহন চালায়, তাকে আরও বেশি মানবিক হতে হবে।
নিরাপদ সড়ক চাইয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও আয়োজনের সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, আমাদের দেশ, আমাদের মানুষ। তাই আমাদেরই এগুলো করতে হবে। সেজন্যই ঢাকার বাইরে এতগুলো শাখা করেছি, যেন তারা সবাই নিজ নিজ এলাকার সড়ক নিরাপদ রাখতে পারে। আমরা চাই সড়ক দুর্ঘটনায় সবসময় নিজেকে আগে দেখতে হবে, পরিবর্তন হতে হবে। মূল কাজটা আমাদেরই করতে হবে। তাই আমাদের সবাই মিলে প্রচেষ্টা চালাতে হবে।
এ সময় তিনি নিরাপদ সড়ক চাইয়ের ১১১টি সুপারিশ বাস্তবায়নেরও দাবি জানান।