জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি বলেছেন, আমরা আমদানী নির্ভর দেশ হিসেবে না থেকে সারা বিশ্বে মাথা উঁচু করে রপ্তানি নির্ভর দেশ হিসেবে বাঁচতে চাই। আমরা মাংসে এবং ডিমে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি। সামনে আমরা দুধেও স্বয়ংসম্পন্ন হতে যাচ্ছি। এ অবদান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান। এ কথাগুলো দেশের সাধারন মানুষকে জানাতে হবে। “পুষ্টি, পরিবেশ ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে টেকশই দুগ্ধ শিল্প”- এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জেলা প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের আয়োজনে ১ জুন বিশ্ব দুগ্ধ দিবস-২০২২ এর বেলুন-ফেস্টুন উড়িয়ে উদ্বোধন করতে গিয়ে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথাগুলো বলেন। জেলা প্রাণি সম্পদ অফিসার ও বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি কৃষিবিদ মোঃ আলতাফ হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোঃ আসলাম উদ্দিন, কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মঞ্জুরুল ইসলাম ও জেলা মৎস্য অফিসার মোঃ মুক্তাদির খান। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর দিনাজপুরের উপ-পরিচালক রওনকুল ইসলাম, ডেইরী ফার্ম এসোসিয়েশনের সভাপতি শেখ নাসিম আলী কচি। সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভেটেরিনারী অফিসার ও দুগ্ধ দিবস উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ড. আশিকা আকবর তৃষা বলেন, দিনাজপুরে দুধের ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২.৪৫ আর অর্জন হয়েছে গত মে মাস পর্যন্ত ৯৭ ভাগ। আমাদের মাথাপিছু দৈনন্দিত চাহিদা ২৫০ মিলিগ্রাম অথবা এক গ্লাস বুধ। সেটা অর্জনের জন্য প্রতি বছর প্রাণি সম্পদ ১ জুন বিশ্ব দুগ্ধ দিবস পালন করে আসছে। প্রধান অতিথি হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি আরও বলেন, করোনার সময় শেখ হাসিনার বলিষ্ট পদক্ষেপে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন দেওয়াতে দেশের মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পশু সম্পদ বিভাগ থেকে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে এনে আপনাদের মূল্যায়ন করেছে। আমরা সবাই জানি করোনার সময় প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর মানুষের পুষ্টির জন্য যে অবদান রেখেছে তা একটি প্রশংসনিয় উদ্যোগ বলে আমরা মনে করি। আপনারা সবাই জানেন, ইতিপূর্বে রোগাক্রান্ত গরুকে চিকিৎসার জন্য দুর-দুরান্ত হতে এনে চিকিৎসা করানো হত। বর্তমান শেখ হাসিনার আন্তরিকতার কারণে এখন ভ্রাম্যমান পশু এ্যাম্বুলেন্স বাড়িতে গিয়ে পশুদের চিকিৎসা করছে। সভা শেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়।