বাংলাদেশের ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক অবদুস ছত্তার বলেছেন, ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য শেখ হাসিনা নির্বাচন সংশ্লিস্ট কর্মকর্তা,পুলিশ দলীয় লোকজন দিয়ে রাতের বেলায় ভোট গ্রহন করে ক্ষমতা দখল করেছে। এখন শেখ হাসিনা দেখছে বিভিন্ন আর্ন্তজাতিক ভাবে দলীয় সরকারের অধিনে আর কোন নির্বাচন নয় বলে জানিয়ে দিয়েছে তাই শেখ হাসিনা নতুন করে ভোট ডাকাতী করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে উঠেছে। বর্তমান সরকারে নতুন নির্বাচন কমিশনার নিজেই এবার বলেছে আর দেশে রাতের বেলায় কোন ভোট হবে না। নির্বাচন কমিশনারের কথায় এটায় প্রমানিত হয়ে যায় এদেশে রাতের বেলায় ভোট হয়েছে। এসময় অন্য বক্তারা বলেন,এদেশে এখন যে শিশুটি জন্ম গ্রহন করছে সেই শিশু সন্তানটি ৮৫ হাজার কোটি টাকা ঋনের বোঝা মাথায় দুনিয়া আসছে তাহলে কোথায় উন্নয়ন। তারা আরো বলেন বাংলাদেশ থেকে সরকারী দলীয় ও তাদের দোসররা দেশ থেকে ১১ লক্ষ কোটি টাকা বিদেশ পাচার করেছে তাদের বিচার করছে না। অভিলম্বে দেশের অর্খ পাচারকারীদের দেশবাশির কাছে চিহ্নিত করে দ্রুত বিচার করার পাশাপাশি নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম সাধারন মানুষের নিয়ন্ত্রনে আনার দাবী করেন। বৃহস্পতিবার (২ই মে) সকাল ১০ টায় নগরের অশ্বিনী কুমার টাউন হল চত্বরে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট লীগ বরিশাল জেলা কমিটির আয়োজনে বিক্ষোভ মিছিল ও পরবর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যতে একথাগুলো বলেন নেতৃবৃন্দ। চাল, ডাল, তেল, আটা, ময়দা, গ্যাস সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমানো সহ দেশের মানুষের অর্থ আত্বস্বাৎকারী ও বিদেশ অর্থ পাচারকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে বাংলাদেশের ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ বরিশাল জেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক কমরেড অধ্যাপক জলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেনকেন্দ্রীয় কমিটি সদস্য কমরেড রনজিৎ চট্রোপাধ্যায়,কেন্দ্রীয় সম্পাদক মন্ডলী সদস্য কমরেড শামীম ইমাম,কেন্দ্রীয় কমিটি সদস্য কমরেড নিতাই মন্ডল,কেন্দ্রীয় সদস্য কমরেড নৃপেন্দ্র নাথ বাড়ৈ। এখানে আরো উপস্থিত ছিলেন বরিশাল জেলা কমিটি সদস্য উপাধাক্ষ হারুন অর রসিদ,অধ্যাপক শাহ্ আজিজুর রহমান খোকন,অধ্যাপক বিরেন রায়,জাফর আহমেদ তালুকদার ও বরিশাল জেলা বামজোটের সমন্বয়ক অধ্যাপক দুলাল মজুমদার প্রমুখ। এর পূর্বে তারা নগরীতে লাল পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল বেড় করে। মিছিল বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় টাউন হল চত্বর সমাবেশ স্থলে এসে শেষ হয়।