বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৩৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
ফটিকছড়িতে কৃষকের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ মহেশখালীতে যৌথ উচ্ছেদ অভিযান বনবিভাগের মানবসেবা অভিযান ভাঙ্গুড়া শাখা আয়োজিত হুইল চেয়ার, গাছ বিতরণ ও অন্যান্য কর্মসূচি পালন বগুড়া শেরপুরের যৌন হয়রানির অভিযোগে সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন কালিয়াকৈরে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার মান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার উম্মে কুলসুম ফেরদৌসী (পুষ্প) তারাকান্দায় অধ্যক্ষ জামাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও ক্ষমতা অপব্যবহারের অভিযোগ সুজনের শার্শা উপজেলা কমিটি গঠন উলিপুরে ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে সহকারী শিক্ষকদের মানববন্ধন কালিয়ায় সুধীজনের সাথে মতবিনিময় করেছেন পুলিশ সুপার কবি নজরুল ইসলাম কলেজের এডহক কমিটি গঠন

শহীদ জিয়াকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাস লেখা সম্ভব নয় : ড. খন্দকার মোশাররফ

শাহজাহান সাজু:
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২ জুন, ২০২২

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাস লেখা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২ জুন) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের তৃতীয়তলার হলরুমে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪১তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)-এর উদ্যোগে ‘বাংলাদেশ ও শহীদ জিয়া’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ জিয়া পরিবারকে নিয়ে ভয় পায় বলেই নতুন প্রজন্মকে মিথ্যা ইতিহাস শেখাচ্ছে। কিন্তু এটাই বাস্তবতা যে, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাস লেখা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, দেশের সার্বিক উন্নয়নে জিয়াউর রহমানের অনস্বীকার্য অবদান রয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতারা যখন দেশ থেকে পালিয়েছিলেন তখন কারো নির্দেশ ছাড়াই তৎকালীন মেজর জিয়াউর রহমান ‘উই রিভোল্ট‘ বলে বিদ্রোহ করেন। তিনি তার অধিনায়ক জেনারেল জানজুয়াকে গ্রেফতার ও হত্যার মাধ্যমে স্বাধীনতার ঘোষণা করে নিজে যুদ্ধ করেন। এভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সূচনা করেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তিনি ছাড়া এ দাবি কেউ করতে পারবে না। অথচ নতুন প্রজন্মকে মিথ্যা ইতিহাস শেখাচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকার।
শহীদ জিয়ার অবদানের কথা উল্লেখ করে বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, আজকে কৃষি, রেমিট্যান্স ও গার্মেন্টস শিল্পের ওপর বাংলাদেশের অর্থনীতি দাঁড়িয়ে আছে। এগুলো শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান নিজে প্রতিষ্ঠা করেছেন। এই প্রতিষ্ঠানগুলো দুর্বল হলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়বে। তিনি খাল খনন করে কৃষির উন্নয়নে অসংখ্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। যে দেশে ৭৪ সালে দুর্ভিক্ষ হওয়া সত্ত্বেও তিন বছর পর তিনি বিদেশে চাল রফতানি করেছিলেন।
তিনি বলেন, গার্মেন্টস শিল্পের প্রতিষ্ঠা করেন জিয়াউর রহমান। বিদেশে জনশক্তি রফতানির মাধ্যমে বিদেশি মুদ্রা অর্জনের পথ তৈরি করে গেছেন। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে শ্রমিক রফতানি শুরু করেন। মুসলিম বিশ্বে তিনি ছিলেন অত্যন্ত সম্মানিত ও সুপরিচিতি জনপ্রিয় নেতা। তিনি ছিলেন আল কুদস কমিটির সদস্য। সুতরাং শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে কোথা থেকে বাদ দিবেন?
খন্দকার মোশাররফ বলেন, শহীদ জিয়া ৭ নভেম্বর সিপাহী জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেন। তিনি দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে ১৯ দফা কর্মসূচি প্রণয়ন করেন। সাংবিধানিক সংস্কার করে বাংলাদেশের জাতিসত্তার পরিচয় দিয়েছেন। তিনি আমাদের পরিচিতি হিসেব বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আমাদের মুক্তিযুদ্ধ, ইতিহাস-ঐতিহ্যের সমন্বয়ে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের বিষয়টি চূড়ান্ত করেন। যার ভেতরে বাংলাদেশের অনেককিছু নিহিত আছে। বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর যে চেতনা সেটা হলো বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ। তিনি বলেন, শহীদ জিয়া তার শাসনামলে বাংলাদেশের সংবিধানের সংশোধন করে ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ সংযোজন করেন। ইনশাআল্লাহ এটা কেউ পরিবর্তন করতে পারবে না। তিনি সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা বিষয়টির পরিবর্তন করেন। স্বাধীনতা পরবর্তী সংবিধানের সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি বাতিল করে মুক্তবাজার তথা অংশগ্রহণমূলক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা চালু করেছেন।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, আজকে যারা ক্ষমতায় তারা স্বৈরাচারী এবং ফ্যাসিস্ট। তারা প্রাইমারি স্কুলের বই থেকে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সম্পর্কে সঠিক ইতিহাস সরিয়ে দিয়েছে। স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে তার নাম রাখা হয়নি। কেন সরকার শহীদ জিয়া ও জিয়া পরিবারকে ভয় পায়? তারা কেন নতুন প্রজন্মকে মিথ্যা ইতিহাস শেখাচ্ছে? কারণ তারা তো ব্যর্থ। গণতন্ত্র হত্যা করে বাকশাল করেছিলো। স্বাধীনতার ঘোষণা করতে পারেনি। সে কারণে তারা নতুন প্রজন্মকে মিথ্যা ইতিহাস শেখাচ্ছে।
তিনি বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংযোজন করেছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ সেটা বাতিল করেছে। খালেদা জিয়ার শাসনামলে বাংলাদেশের পরিচিতি ছিলো ইমার্জিং টাইগার। সেজন্যই তারা জিয়া পরিবারকে ভয় পায়। আমাদের সবাইকে শহীদ জিয়া ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার স্বপ্ন পূরণে কাজ করতে হবে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে। সেজন্য সরকারের পদত্যাগ এখন সময়ের দাবি। তারা হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। দেশকে ধংসের শেষ পর্যায়ে নিয়ে গেছে। খালেদা জিয়ার মুক্তি, তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনা, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে।
ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা: হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক ডা: মেহেদী হাসানের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা: সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা: শহীদুল আলম, ড্যাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি ডা: এম এ সেলিম, সহ-সভাপতি ডা: বি গণি ভুইয়া, ডা: মো: সিরাজুল ইসলাম, মহাসচিব ডা: আবদুস সালাম, কোষাধ্যক্ষ ডা: জহিরুল ইসলাম শাকিল, ডা: আবুল কেনান, ড্যাবের যুগ্ম মহাসচিব ডা: শেখ ফরহাদ, ডা: সাইদ মেহবুব উল কাদির, অ্যামট্যাবের বিপ্লবুজ্জামান বিপ্লব প্রমুখ। এ সময় বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা: রফিকুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর উত্তর ড্যাবের সভাপতি ডা: সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম, বিএসএমএমইউ ড্যাবের সভাপতি ডা: এরফানুল হক সিদ্দিকী, ডা: পারভেজ রেজা কাকন, স্বেচ্ছাসেবক দলের স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা: জাহেদুল কবির, অ্যামট্যাবের দবির উদ্দিন তুষার, বেসরকারি মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজ ছাত্রদলের রাকিবুল ইসলাম আকাশ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com