ভারতে মহানবী (সা.)-কে নিয়ে অবমাননাকর বক্তব্য ইস্যুতে জাতিসংঘ
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে ভারতের বিজেপি নেতাদের অবমাননাকর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে মুখ খুললো জাতিসংঘ। মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরাঁর এক মুখপাত্র এ নিয়ে বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে সকল ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং সহনশীলতাকে উৎসাহিত করি। এক পাকিস্তানি সাংবাদিকের করা প্রশ্নের জবাবে এমন উত্তর দেন ওই মুখপাত্র। এ খবর দিয়েছে এনডিটিভি। এর আগে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করায় বিজেপি নেতা নুপুর শর্মা এবং নবীন জিন্দালের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয় দলের তরফ থেকে। তাদের সদস্যপদ বাতিল করা হয়। সোমবার একটি সংবাদ সম্মেলনে ইস্যুটি জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টেফানে দুজারিকের কাছে উপস্থাপন করেন এক পাকিস্তানি সাংবাদিক। এ নিয়ে দুজারিক বলেন, আমি এ বিষয়ে রিপোর্ট দেখেছি। আমি তাদের বক্তব্য শুনিনি তবে আমি সকল ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা এবং সহনশীলতাকে উৎসাহিত করি।
এদিকে বিজেপি নেতাদের এমন উস্কানিমূলক এবং অবমাননাকর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে আরব বিশ্ব। একাধিক দেশ ভারতীয় রাষ্ট্রদূতদের ডেকে এর প্রতিবাদ জানিয়েছে। চাপের মুখে বিজেপি একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানিয়েছে, তারা সকল ধর্মকে সম্মান করে এবং কোনো ধর্মের কাউকে অবমাননা করার তীব্র নিন্দা জানায় তারা। কূটনৈতিকভাবে বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করছে ভারত। এরইমধ্যে কাতার এবং কুয়েতে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূতেরা দেশগুলোকে অবহিত করেছে যে, এই উস্কানিমূলক টুইটগুলোতে কোনোভাবেই ভারত সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন হয়নি। এগুলো ভারতের মূলধারার বাইরের চিন্তাভাবনা। তবে এরইমধ্যে মুসলিম বিশ্বে ওই মন্তব্য নিয়ে তুলকালাম হয়ে গেছে। কাতার, কুয়েত ও ইরানের পর সোমবার নুপুর শর্মার বক্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে ইন্দোনেশিয়া, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জর্ডান, বাহরাইন, আফগানিস্তান এবং মালদ্বীপ। দেশগুলো সকল ধর্মের বিশ্বাসকে সম্মান দেয়ার গুরুত্ব তুলে ধরেছে।