একটা সময় টিভি পর্দা খুললেই দেখা যেতো অভিনেত্রী অহনা রহমানকে। ধারাবাহিক নাটক মানেই যেন অহনা। মীর সাব্বির পরিচালিত ‘নোয়াশাল’ ধারাবাহিক নাটকটিই ছিলো তার অভিনীত সর্বশেষ দীর্ঘ ধারাবাহিক নাটক। এরপু অহনা সিদ্ধান্ত নিলেন যে তিনি ধারাবাহিক নাটকে আর অভিনয় করবেন না। হাতে থাকা কাজগুলো শেষ করে দিয়ে অহনা ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করা থেকে নিজেকে বিরত রাখেন। আবার করোনার আগে তার একটি ব্যাংকিং কোর্স করতে হয়েছিলো। যে কারণে তিনি মোটা হয়ে গিয়েছিলেন। তাই নাটকে কাজ করা থেকেও নিজেকে বিরত রাখেন। কিন্তু সেই মুটিয়ে যাওয়া অবস্থাতেও অহনা জিয়া উদ্দিন আলমের পরিচালনায় জাহের আলভী’র সঙ্গে ‘মফিজের সুন্দরী বউ’ নাটকে অভিনয় করেন। নাটকটিতে তার অভিনয় প্রশংসিত হয়। গেলো ঈদেও ‘চিনি জামাই’,‘তাফালিং’সহ আরো বেশ কয়েকটি নাটকে অভিনয় করেন তিনি। এই মূহুর্তে অহনা ব্যস্ত রয়েছেন আগামী ঈদের কয়েকটি নাটকের কাজ নিয়ে। এরইমধ্যে তিনি শেষ করেছেন সাত পর্বের ধারাবাহিক নাটক ‘ড্রিম ট্যারেস’, একক নাটক ‘ক্র্যাশ যখন বিয়াইন’, ‘পালাবে কোথায়’ এর কাজ।
নিজের বর্তমান ব্যস্ততা ও অবস্থান প্রসঙ্গে অহনা বলেন, ‘খুব কম অভিনেত্রীই আছেন যাদের নামে নাটক চলে। আলহামদুলিল্লাহ! আমার সেই অবস্থানটা অনেক আগেই তৈরী হয়েছে। যে কারণে আমার অবস্থান নিয়ে অনেক আগে থেকেই আমি সন্তুষ্ট। একটা সময় আমার অভিনীত অনেক ধারাবাহিক নাটক প্রচার হতো। আমি নিজে থেকেই সেই সময় ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করা বন্ধ করে দেই। এখন শুধু খন্ড নাটকে অভিনয় করি। এবারের ঈদেও বেশ ভালো ভালো গল্পের নাটকে অভিনয় করছি। তবে আগামীতে আরো বেশ ভালো ভালো কিছু কাজ আসছে। সেগুলো দর্শকের জন্য চমক হিসেবে থাকবে।’
অহনা জানান, রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত তার নিজস্ব বিউটি পার্লার অনেক আগেই বন্ধ করে দিয়েছেন। আবার কয়েক বছর আগে একজন ট্রাক ড্রাইভারের কারণে তিনি দুর্ঘটনার মুখোমুখি হয়েছিলেন, তাকেও জেল হাজত থেকে ছাড়িয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করেন। অহনা বেশ কিছু সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন। গল্প এবং চরিত্র ভালো লাগলে আগামীতেও সিনেমায় কাজ করবেন।