এ বছর এসএসসি ও সমমানে পরীক্ষার্থী কমেছে ২ লাখ ২১ হাজার ৩৮৬ জন। এবার এতসংখ্যক পরীক্ষার্থী কমেছে কেন, তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
রবিবার (১২ জুন) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা নিয়ে জাতীয় মনিটরিং ও আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কমিটির সভা শেষে তিনি এর ব্যাখ্যা দেন। করোনাকালে বিপুল সংখ্যক মেয়ে শিক্ষার্থীর বাল্যবিবাহের খবর পাওয়া যায়। সংবাদ সম্মেলনে পরীক্ষার্থী কমার বিষয়টি জানার পর অনেকের প্রশ্ন জাগে, তাহলে কি একারণেই এবছর এত সংখ্যক পরীক্ষার্থী কমলো। এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের পরিসংখ্যান তা বলছে না। আমাদের পরিসংখ্যানে ছেলেদের তুলনায় এবছর মেয়ে শিক্ষার্থী বেশি।’ পরীক্ষার্থী কমার ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রতি বছর মানোন্নয়নের জন্য অনেকে পরীক্ষা দেয়। কিন্তু গতবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে, শুধু আবশ্যিক বিষয়ে। সে কারণে পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ পরীক্ষার্থী নেই বললেই চলে। গতবার যদি পূর্ণাঙ্গ পরীক্ষা হতো তাহলে যারা অকৃতকার্য হতো তারা এবারও পরীক্ষায় অংশ নিতো। সে কারণে এবার পরীক্ষার্থী কম মনে হচ্ছে। আসলে নিয়মিত পরীক্ষার্থী কমেনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এছাড়া প্রতিবছর এমনও হয়, কেউ কেউ রেজিস্ট্রেশন করেও পরীক্ষা দেয় না। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তা হয়নি। সবাই পাস করেছে।’ প্রসঙ্গত, আগামী ১৯ জুন এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। এই পরীক্ষায় মোট অংশ নিতে যাচ্ছে ২০ লাখ ২১ হাজার ৮৬৮ জন পরীক্ষার্থী। ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে মোট পরীক্ষার্থী কমেছে ২ লাখ ২১ হাজার ৩৮৬ জন। পরীক্ষায় অংশ নেওয়াদের মধ্যে ছাত্র ১০ লাখ ৯ হাজার ৫১১ জন এবং ছাত্রী ১০ লাখ ১২ হাজার ৩৫৭ জন। এবার ছাত্রী সংখ্যা বেশি ২ হাজার ৮৪৬ জন। সভাশেষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আবু বকর সিদ্দীক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এবং অন্যান্য শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।