বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার হার্টে গত শনিবার (১১ জুন) দুপুরে রিং পরানো হয়েছে। এখন তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকলেও ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত পর্যবেক্ষণে থাকবেন। এ সময় পার হলেই তার মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসকরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন। গতকাল রবিবার (১২ জুন) দুপুরে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) সিসিইউতে আছেন, মেডিক্যাল বোর্ড তাকে অবজারভেশনে রেখেছে। গতকাল এনজিওগ্রাম করে হার্টে রিং বসানো হয়েছে। অবজারভেশনের পর পরবর্তী করণীয় ঠিক করবে মেডিক্যাল বোর্ড।’ গত শনিবারই খালেদা জিয়ার তিনটি ব্লক ধরা পড়েছিল জানিয়ে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘ওনার লিভারের সমস্যাসহ শারীরিক সার্বিক বিষয় বিবেচনায় বাকি দুইটিতে অস্ত্রোপচার করা হয়নি। বাকি ব্লকগুলো ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করা হচ্ছে।’ গুলশানের বাসায় ‘ফিরোজা’য় বেগম খালেদা জিয়া হঠাৎ অসুস্থবোধ করলে রাত ৩টায় ছোট ভাই শামীম এস্কান্দারের গাড়িতে করে বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের চেয়ারপাসনের অসুস্থতার খবর পেয়ে দ্রুত উত্তরার বাসা থেকে গুলশানে আসেন এবং চেয়ারপারসনকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরপরই তাৎক্ষণিকভাবে খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্রের কয়েকটি পরীক্ষা করা হয়। জানা গেছে, ৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়া বহু বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।