বিভিন্ন অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা বিপর্যস্ত দেশ। তারই প্রভাব পড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে। দাম বেড়েছে সবজি এবং পেয়াজের। গতকাল শুক্রবার সকালে রাজধানীর মিরপুরের বিভিন্ন এলাকার বাজার ঘুরে এমনটাই দেখা গিয়েছে। বিভিন্ন বাজারে দেখা গিয়েছে সবজির মূল্য বৃদ্ধির বিষয়টি। বিক্রেতারা বলছেন, বন্যার কারণে সরবরাহ কম থাকায় গত ৩-৪ ধরেই শাক-সবজির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। সরবরাহ বাড়লে দাম কমবে। গতকাল শুক্রবার এসব বাজারে শসা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা। লম্বা বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা, করলা ৭০, চাল কুমড়া পিস ৪০, প্রতি পিস লাউ আকার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০, চিচিঙ্গা ৫০, পটল ৫০, ঢেঁড়স ৫০, কচুর লতি ৬০, পেঁপের কেজি ৫০, বটবটির কেজি ৬০, ধুনধুলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। এছাড়া এসব বাজারে কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ২০ টাকা। শুকনা মরিচের কেজি ৪০০ টাকা।
বাজারে আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা। আর একটু ভালো মানের পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। বাজারে রসুনের দাম কমেছে। এসব বাজারে রসুনের কেজি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। বাজারে চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা। অন্যদিকে বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। এছাড়া প্যাকেট চিনির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। এসব বাজারে দেশি মুশুরের ডালের কেজি ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা। ইন্ডিয়ান মুশুরের ডাল বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। প্যাকেট আটার কেজি ৪৮ থেকে ৫০ টাকা। খোলা আটার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। বাজারে ভোজ্য তেলের লিটার ২০৫ টাকা। লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা। হাঁসের ডিমের ডজন ১৬০ ও দেশি মুরগির ডিমের ডজন ১৯০ টাকা। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে বাজারে গরুর মাংসর দাম, প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা করে। এছাড়া খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকায়। বয়লার মুরগির কেজি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৯০ থেকে ৩০০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায়।