যার মধ্যে নীতিনৈতিকতা নেই, দেশপ্রেম নেই, পরিবারের প্রতি মমত্ববোধ নেই, সে-ই দুর্নীতি করে। মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকার জন্য আমাদেরকে দুর্নীতি পরিহার করতে হবে। শুধু আইন দিয়ে দুর্নীতি প্রতিরোধ হবে না; ব্যক্তি ও পারিবারিক জীবনেও তা অনুসরণ করতে হবে। দুর্নীতি প্রতিরোধ ও দমন করতে সমাজের সকলের দায়িত্ব রয়েছে। সব মানুষের সহযোগিতা থাকলে প্রধানমন্ত্রীর দুর্নীতি-বিরোধী কার্যক্রম সফল হবে। তাই, দুর্নীতি না করি- এটাই হবে প্রতিরোধ। রোববার সকাল ১০টায় গোপালগঞ্জ শহরের চাঁদমারী সড়কে দুর্নীতি দমন কমিশনের জেলা কার্যালয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি বক্তব্যে কমিশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, কমিশনের কাজকে আরো গতিশীল করতে গোপালগঞ্জ জেলা কার্যালয়সহ একইসঙ্গে দেশের ১২টি জেলা কার্যালয় উদ্বোধন করা হল। কিছুদিন আগে আরও দু’টি জেলা কার্যালয় উদ্বোধন করা হয়েছে। এ নিয়ে দুদকের জেলা কার্যালয়ের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৬। এখন থেকে দুদকের কোন কাজে গোপালগঞ্জের মানুষকে আর ফরিদপুর যেতে হবে না। সময় ও ব্যয় দুটোই সাশ্রয় হবে। কেউ অভিযোগ করতে চাইলে দুদুক কার্যালয়ে গিয়ে অথবা টোল-ফ্রি হটলাইনেও (নম্বর: ১০৬) অভিযোগ করা যাবে। দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধে দুদককে সার্বক্ষণিক সহযোগিতার আশ^াস দিয়ে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জেলার পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকা। বক্তব্য রাখেন দুদক প্রধান কার্যালয়ের পরিচালক মীর মোঃ জয়নুল আবেদীন শিবলী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কমিশনের ঢাকা বিভাগীয় পরিচালক মোঃ আক্তার হোসেন। অনুষ্ঠানের সভাপতি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ রাশেদুর রহমান বলেছেন, জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদ্যাপন করেছি। স্বাধীনতার এ ৫০ বছরে দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধে আমরা কতটুকু উত্তোরণ করতে পেরেছি তা আমাদের মূল্যায়ন করা প্রয়োজন। এর আগে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন, জাতীয় ও দুর্নীতি দমন কমিশনের পতাকা উত্তোলন আর বেলুন উড়িয়ে উদ্বোধন করা হয় জেলা কার্যলটি।