বদলী জনিত কারণে আলোচিত হাটহাজারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রফিকুল ইসলাম বিদায় নিলেন অশ্রুসিক্ত নয়নে। মঙ্গলবার দুপুরে ২০ মাসের কর্মস্থল হাটহাজারী মডেল থানা থেকে বিদায় নিয়ে ঢাকা সিআইডিতে যোগদান করেন। মাত্র ২০ মাস সময়ের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ এ উপজেলার সাধারন জনগনের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে। একজন চৌকস পুলিশ কর্মকর্তা বদলে দিয়েছে হাটহাজারী মডেল থানার চিত্র। করেছে সাধারন নাগরিকদের সেবা প্রদানে নিশ্চিত ও দালাল মুক্ত থানা। গত মঙ্গলবার (১২ জুলাই) থানা কম্পাউন্ডে বিদায়ী ও বরণ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে থানার পুলিশ ও সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে হঠাৎ অঝোরে কাঁদলেন ও কাঁদালেন।এসময় তিনি বলেন, হাটহাজারী বাসীর এ ভালবাসা কোনদিনও বুঝতে পারতাম না যদি বদলি না হতো।আজ আমি স্বার্থক,এ থানায় ২০ মাসে জনগনের সেবা দিয়ে যে ভালবাসা পেয়েছি। তিনি বলেন, মানুষ ভুলের উর্ধ্বে নয়, আমারও ভুল হতে পারে। এ থানায় যোগদানের পর যা কিছু অর্জন হয়েছে সব হাটহাজারী বাসীর আর যা ব্যর্থ হয়েছে সব আমার। হাটহাজারীর আপামর জনগন আমার পরিবারের মত। আমার সাধ্যানুযায়ী সেবা প্রদানের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। করতে চেয়েছি দালাল মুক্ত থানা। তিনি ২০২০ সালের ১৭ নভেম্বর এ থানায় যোগদানের পর পুরো থানার চিত্র পরিবর্তন করে দিয়েছেন। জনসেবা সহজ করতে জিডি ও মামলা করতে করতে কোনো টাকা দিতে হবে না এমন লেখা ডিউটি অফিসারের রুমের দেয়ালে সাঁটানো ছিলো। তিনি,হাটহাজারী বাসীকে মাদকমুক্ত করণে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখেন। মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে অটল ছিলেন। তিনি থানায় দালালদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন ও পুলিশিং সেবা দ্রুত পেতে উপজেলার পৌরসভায় ৩টি ও ইউনিয়নে ১৪ টি, সিটিতে ১টিসহ ১৮টি বিট পুলিশিং কার্যালয় বসিয়েছেন। প্রবাসীদের জন্য প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক, নারী শিশু বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী সার্ভিস কক্ষ, কম্পিউটার ল্যাব পুকুরের সৌন্দর্য বর্ধ্বন ও ওয়াকওয়ে নির্মাণ, পুরো থানা বাউন্ডারি বর্দিত করন, অনলাইন জিডির জন্য কম্পিউটার ও ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপন, যে কোন বিষয়ে কতটুকু নাগরিক সেবা পেয়েছে তা ওসিকে জানাতে করেছে গোপন সাজেশন বাক্স, যেখানে সুবিধাভোগী বা বঞ্চিত নাগরিক লিখিত ভাবে সাজেন বাক্সে জানাতে পারতো। সরবোপরি দালাল মুক্ত একটি মডেল থানা সাজাতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছে তিনি। হাটহাজারী থানার পুলিশ উপপরিদর্শক মো. আমিনুল ইসলামের সঞ্চালনায় বিদায়ী ও বরণ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি আবু রাইহান, নবাগত ওসি রুহুল আমিন সবুজ, ট্রাফিক টিআইও ছামির উদ্দিন, ডাঃকামাল উদ্দিন, আলহাজ্ব মনজুরুল আলম চৌধুরী,ওসি তদন্ত রাজিব শর্মা, সকল ইউপি চেয়ারম্যান সহ সাংবাদিক সহ মডেল থানার সকল অফিসার কর্মচারীবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। তিনি যোগদানের পর থেকে হেফাজতের মামলা সহ ছোট বড় মাদক মামলা হয়েছে অনেক। তাছাড়া ডাকাতি, মার্ডার, ছিনতাইয়ের মত ঘটনা ঘটেনি মাদক নিয়ন্ত্রন, আইন শৃংখলা রক্ষা সহ হাটহাজারী মাদ্রাসা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক নানা জটিলতা ভালভাবেই সামাল দিয়েছেন এই চৌকস অফিসার রফিকুল ইসলাম।