ক্ষমতাসীন অবৈধ সরকার আরেকবার ক্ষমতায় আসলে একেবারে কাগজে-কলমে দেশ বিক্রি করে দেবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আরেকটি ভুয়া নির্বাচন করার পরিকল্পনা করছে। তারা যদি আবারো যেন-তেনভাবে ক্ষমতায় আসতে পারে তাহলে একেবারে কাগজে-কলমে এই দেশ বিক্রি করে দেবে। এই বিক্রির জন্য শেখ হাসিনা আবার ক্ষমতায় থাকতে চাইবে। কিন্তু এটা হতে দিতে পারি না। আর কোনো মানুষের জীবন নিয়ে শেখ হাসিনাকে খেলতে দিতে পারি না।’ গতকাল বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল খানের ২য় মৃত্যুবার্ষিকীতে ছাত্রদলের সাবেক সতীর্থ ও সহযোদ্ধাবৃন্দের উদ্যোগে দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘অগণতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপি লড়াই করে যাচ্ছে। লড়াই করে যাচ্ছে বলেই আওয়ামী লীগ বিএনপিকে বড় শত্রু মনে করে। তারা বড় শত্রু মনে না করলে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে তিন বছর বন্দি করে রাখে? দেশনায়ক তারেক রহমানকে নানাভাবে মিথ্যা সাজা দিয়েছে, যার কারণে তিনি দেশে আসতে পারছেন না। শেখ হাসিনা দেশকে বিরোধীদলশূন্য করে রাণীর হালে থাকতে চেয়েছেন, আর দেশের মানুষের সম্পদ লুট করে তার লোকদের দিয়ে দিতে চেয়েছেন। এমতাবস্থায় যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটে, যাতে পালাতে পারে তার জন্য বিদেশে অর্থপাচার করেছে – এই হলো শেখ হাসিনার নীতি। এভাবেই ১৩-১৪ বছর ধরে তিনি ক্ষমতায় আছেন। বিএনপি’র এই মুখপাত্র বলেন, ‘মসজিদে ইলেকট্রিসিটি থাকবে না সরকারের থেকে বলে দেয়া হয়েছে, অথচ নাইট ক্লাবে থাকবে। সরকারের যেখানে লাভ আছে সেখানে থাকবে। নামাজ পড়তে কয় মিনিট লাগে? ১০ থেকে ১৫ মিনিট। অথচ যেসব কারণে লোডশেডিং হচ্ছে সেই কারণগুলো সরকার কিছুই করছে না। আমরা একটা ভয়ঙ্কর নমরুদীও শাসন ব্যবস্থার মধ্যে বসবাস করছি। এরা শান্তি-স্থিতি সবকিছু ধ্বংস করে ফেলেছে।’
রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের এক নেতা সেদিন বলেছেন, কেউ যদি আমার নেত্রীর বিরুদ্ধে কথা বলে তার জিভ টেনে ছিঁড়ে ফেলা হবে। এটা তো পাড়া-মহল্লার সন্ত্রাসীদের কথা, অথচ একথা আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতাদের মুখ থেকে বের হয়। অর্থাৎ আওয়ামী লীগে কোনো ভদ্র সুশীল লোক নেই। এখানে গু-াদের দিয়ে ভরে গেছে বলেই ঈদের আগে খুন, ঈদের পরে খুন, যুবদল ছাত্রদল নেতা খুন, খুনের পর খুন – সারা বাংলাদেশে রক্তের বন্যা বয়ে দেয়া হয়েছে। এটাই হচ্ছে আওয়ামী লীগের শাসন। নব্য বাকশালীয় শাসন। নিশিরাতে ভোটচুরি করা শাসন।’
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘একবার শপথ করে আমাদেরকে ঘর থেকে বের হতে হবে। মায়ের কাছ থেকে স্ত্রী-সন্তানের কাছ থেকে বিদায় নিতে হবে। এটা জনগণের স্বার্থে দেশের স্বার্থে আমাদের সকলের স্বার্থেই করতে হবে।’ বিএনপির সহ-ধর্মবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল বারী ড্যানির সভাপতিত্বে দোয়া মাহফিলে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-যুববিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।