শরীয়তপুর পৌরসভা প্রথম শ্রেণি হলেও সে অনুযায়ী কোনো নাগরিক সুবিধা পাচ্ছে না পৌরবাসী। খানাখন্দে ভরা পৌর এলাকার অধিকাংশই রাস্তাঘাট। সুষ্ঠু ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে তলিয়ে যায় শহরের গুরুত্বপূর্ণ পাকা সড়ক, বসতবাড়ির আঙিনা এমনকি শহরের বসত ঘরটিও। প্রথম শ্রেণির এ পৌরসভায় গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে পৌর শহরের নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ময়লাযুক্ত পানির কারণে অতিষ্ঠ হয়েছে পৌরবাসী। ফলে জনজীবন থমকে গেছে। পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে, অপরিকল্পিতভাবে বাড়িঘর করার কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এ জন্য পৌরবাসী দায়ী। তবে ড্রেন নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। বিপুলসংখ্যক জনগোষ্ঠীর এ পৌর শহরে রয়েছে মাত্র ৩ কিলোমিটার ড্রেনেজ ব্যবস্থা। এর বাইরে কিছু ড্রেনেজ আছে, যার ৯০ শতাংশই রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে অকেজো ও ভরাট অবস্থায় রয়েছে। ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই পানির নিচে তলিয়ে যায় পৌর শহরের অধিকাংশ এলাকা। প্রভাবশালীরা প্রাচীন খালগুলো ভরাট করে পাকা ও আধাপাকা স্থাপনা নির্মাণ করে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে দিয়েছে। পাশাপাশি শহরের পুরনো শতাধিক পুকুর, জলাশয় ব্যক্তিগত উদ্যোগে বালু দিয়ে ভরাট করায় পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। গত কয়েক দিনের বৃষ্টির কারণে শরীয়তপুর শহরের ১নং ওয়ার্ড শান্তিনগর, নিরালা আবাসিক এলাকা, কোতোয়াল বাড়ি রোড, কলেজ রোড, কোতোয়ালবাড়ি এলাকা, পুলিশ লাইন এলাকা, কাশাভোগ, নিলকান্দী, স্বর্ণঘোষ, বেপারীপাড়া, চর পালং এলাকাসহ পৌরসভার অধিকাংশ নিচু এলাকা বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। অনেকের বাড়িঘরে পানি ওঠায় সাঁকো দিয়ে এক ঘর থেকে অন্য ঘরে যাতায়াত করছে। শরীয়তপুর পৌরসভার শান্তিনগর এলাকার শারমিন বেগম বলেন, গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে আমাদের ঘরে পানি উঠে গেছে। এ বিষয়ে মেয়র ও স্থানীয় কাউন্সিলরদের কাছে বারবার গিয়েও আমরা কোনো সুফল পাচ্ছি না। নিরালা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা আব্দুল হক মিয়া, আতাউর রহমান বলেন, আমরা পৌরসভার প্রাণকেন্দ্রে বসবাস করলেও কোনোরকম নাগরিক সুবিধা পাচ্ছি না। প্রতি বছর আমরা অতিরিক্ত পৌর কর দিচ্ছি। অথচ সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। শরীয়তপুর পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট পারভেজ রহমান জন বলেন, অপরিকল্পিত বাড়িঘর তোলার কারণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। পুরাতন ড্রেনগুলো শিগগিরই সংস্কার করা হবে। সামনে কিছু প্রজেক্ট আছে। তাতে কিছু ড্রেন ধরা আছে। সেগুলো হলেই জলাবদ্ধতা কমে আসবে।