বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪০ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত মাইলস্টোন কলেজে দ্বাদশ শ্রেণির বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা বনফুল আদিবাসী গ্রীনহার্ট কলেজে মনমাতানো ক্লাস পার্টি অনুষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের সরকারের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান অধ্যাপক ইউনূসের রাষ্ট্রপতির কাছে সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ প্রধান বিচারপতির দেশমাতৃকার বিরুদ্ধে দেশী-বিদেশী চক্রান্ত থেমে নেই: তারেক রহমান তুর্কি রাষ্ট্রদূতের সাথে জামায়াতের সৌজন্য সাক্ষাৎ চিন্ময় সমর্থক জঙ্গীদের হামলায় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম নিহত অভ্যন্তরীণ বিষয় হস্তক্ষেপ: চিন্ময় ইস্যুতে ভারতের উদ্যোগ শাপলা চত্বরে গণহত্যায় হাসিনাসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ

কলাপাড়ায় একটি সেতুতে বদলে গেল লাখো মানুষের ভাগ্য

কলাপাড়া প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় বুধবার, ২৭ জুলাই, ২০২২

পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার বিকল্প সড়কে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্ন্য়নে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার আন্ধারমানিক নদীতে বালীয়াতলী পয়েন্টে সৈয়দ নজরুল ইসলাম ৬৬৬ মিটার সেতু। এ সেতুতে বদলে দিয়েছে পাঁচটি ইউনিয়নের লাখো মানুষের ভাগ্য। গ্রামীণ এ জনপদে সুচিত হয়েছে যোগাযোগের নতুন দিগন্ত। সে সাথে কুয়াকাটায় যাওয়া যায় আন্ধারমানিক নদীর বালীয়াতলী পয়েন্টের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু পেরিয়ে কুয়াকাটা যাওয়া সম্ভব আন্ধারমানিক নদীর বালীয়াতলী পয়েন্টের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু পেরিয়ে কুয়াকাটা যেতে পারবেন পর্যটক-দর্শনার্থীসহ সাধারন মানুষ। কলাপাড়া থেকে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত পর্যন্ত মাত্র ২১ কিমি পথ যেতে তিনটি সেতু পার হয়ে কুয়াকাটা যেতে হয় এবং তিনটি সেতুর টোল ভাড়া দিতে বাড়তি খরচ। কিন্তু কলাপাড়া থেকে বিকল্প পথে গঙ্গমতি পর্যটন পল্লী হয়ে কুয়াকাটায় যাওয়া যায় আন্ধারমানিক নদীর বালীয়াতলী পয়েন্টের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু পেরিয়ে কুয়াকাটা যাওয়া সম্ভব। তাতে কোন খরচ ছাড়া বেশি সময় অপচয় না করে কম সময় কুয়াকাটায় যাওয়া যায় আন্ধারমানিক নদীর বালীয়াতলী সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু পেরিয়ে বিকল্প পথে গঙ্গমতি পর্যটন পল্লী হয়ে কুয়াকাটায় যাওয়া যায়। পাশাপাশি ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যোগাযোগ রক্ষায় আরও সহজ হয়ে গেলে এ এলাকার মানুষদের। দুরপাল্লার যাত্রীবাহী বাসসহ আন্ত: জেলার বাস গুলো দ্রুত গতিতে চলাচলের অপেক্ষায়। এ এলাকার বসবাসকারী মানুষদের জীবন যাত্রা পাল্টে যাবে। ভু-সম্পতির দাম দ্বিগুন হারে বৃদ্ধি পাবে। কৃষিজাত পন্য সহজে বাজারজাত করা সম্ভব হয়েছে। ব্যবসায়ীয়দের পন্য পরিবহন সহজ হয়েছে। সেতু দিয়ে মটর সাইকেল, মাইক্রোবাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও দুরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস চলাচল করছে। চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে যাওয়া, কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের ক্লাশ, চাকরীজীবিদের অফিস, শ্রমিকদের কাজে যাওয়ায়সহ বিভিন্ন জরুরি প্রয়োজনে বেশ অসুবিধাহতো। তবে সেতুটি নির্মান হওয়ায় এখন নানা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তৃতীয় সমুদ্র বন্দর পায়রা রাবনা বাঁধ চ্যানেলসহ পর্যটন পল্লী গঙ্গামতির নৈসর্গিক সৌন্দয্য অবলোকন ও এশিয়া মহদেশে সর্ব বৃহৎ দ্বিতীয় বৌদ্ধমন্দির মিশ্রিপাড়া ও আদিবাসি রাখাইনদের হাতে তাঁতে বোনা লুঙ্গি পর্যটকদের দেখতে সহজ হবে। সাপুড়ের সরদার আবদুল আলী গাড়ুলীর ৩শ”৬০টি বাঁশের ঝাড়ের গর্ত বৌলতলীপাড়া এখনও চিহ্র রয়েছে। গঙ্গমতি সৈকত রয়েছে লাল কাঁকড়ার অবাধ বিচরন। রয়েছে ঝাইবনসহ ম্যানগ্রোভ প্রজাতির কেওড়া, ছইলা, গেওয়া, বাইনসহ নানান প্রজাতির সারি সারি বৃক্ষ। সুর্যোদয় মতো এমন দৃশ্য উপভোগ করতে প্রতিদিন সমাগম ঘটে শত শত পর্যটকের। এখানে লাল কাঁকড়ারসহ প্রাকৃতিক দৃশ্য অনেকে মুগ্ধ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর এ সেতুর ভিওিপ্রস্তর স্থাপন করেন। স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপতরের (এলজিইডি) ১২০ কোটি টাকা ব্যয় এ সেতুটি নির্মান করেন। ১৩টি স্প্যানের ওপর ফুটপাথসহ ৯ দশমিক আট মিটার প্রস্থ সেতুটি। বাবলাতলা বাজার ব্যবসায়ী হাজী সাইদুর রহমান বাবুল জানান, আন্ধারমানিক নদীতে বালীয়াতলী সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু। এ সেতুতে বদলে দিয়েছে পাঁচটি ইউনিয়নের লাখো মানুষের ভাগ্য। আমাদের ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন মালামাল এক গাড়ীতে পৌছে আসবে দোকানে। কম খরছে ব্যবসায়ীরা মালামালা আনা নেয়া করতে পারবে। আগে আমাদের এলাকার ধান ব্যবসায়ীরা ট্রলারের মাধ্যমে বিভিন্ন মোকামে ধান চালান দিতো এখন সরাসরি ট্রাক দোকানে সামনে থেকে ধান সংগ্রহ করে নিয়ে যায় বিভিন্ন জায়গায়। মৌডুবী ুমৎস্য ব্যবসায়ী হাজী আক্তার গাজী জানান, আন্ধারমানিক নদীতে বালীয়াতলী সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু মৌডুবী এলাকার জন্য এক বিশেষ সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এ এলাকার বিভিন্ন সাগর মোহনার বিভিন্ন প্রজাতির মাছ সহজে ট্রলারের মাধ্যমে বাবলাতলা পৌছে দিলে ওই মাছ বাবলাতলা টু ঢাকার গাড়ীতে তুলে দিলে বিভিন্ন মোকামে নিয়ে বেশি দাম মাছ বিক্রি করা যায়। এ জন্য মৌডবী এলাকার লোকজনের এ সেতুতে বদলে গেলে লাখো মানুষের ভাগ্য। ধুলাসার ইউনিয়নে নয়াকাটা গ্রামের হুন্ডা চালক ইউনুস বলেন, আন্ধারমানিক নদীতে বালীয়াতলী সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু হওয়ায় আমাদের এখন রাত ১২-১টা নেই। যেকোনে সময় আমরা যাত্রী নিয়ে কলাপাড়া আসতে পারি। এর আগে খেয়া যখন ছিল তখন ঘন্টার ঘন্টার অপেক্ষা করতে হতো।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com