দক্ষিণা লের ইলিশের সবচেয়ে বড় বাজার চাঁদপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে এখন প্রতিদিন দেড় থেকে ২ হাজার মণ ইলিশ আসছে। এখান থেকে ইলিশ মাছ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার (২ আগস্ট) বিকেলে জেলার বড় স্টেশনে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে গিয়ে ৪৫টি আড়তে ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাঁক-ডাকে পুরো এলাকা সরব দেখা যায়।
ইলিশ বিক্রেতা মো. শাহবুদ্দিন বলেন, এখন ঘাটে প্রচুর ইলিশ এলেও পদ্মার ইলিশ একেবারেই কম। চট্টগ্রাম, হাতিয়া, লক্ষ্মীপুরের ইলিশ বেশি আসছে। পদ্মার ইলিশ প্রতি কেজি ১৫০০ টাকা পর্যন্ত এবং চট্টগ্রামের ইলিশ ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।
ইলিশ মাছের ক্রেতা মহন, শোভন ও মিজান বলেন, ‘এখানে লোকাল বা পদ্মার ইলিশ একেবারে কম। তাই দাম আকাশচুম্বী। এখন খালি হাতে বাড়ি না ফিরে দরদামে যেটা পাবো, সেটাই কিনবো।’
বাজার দর জানাতে গিয়ে ব্যবসায়ী ইউসুফ বন্দুকসী বলেন, এখানে অধিকাংশ ইলিশ মাছ ছোট। যা ওজনে ৪০০, ৫০০ বা ৬০০ গ্রাম হবে। এই ইলিশ মাছ এখন ২২ থেকে ২৪ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। যা ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি। তবে আজ পদ্মার ইলিশ প্রায় ১০০ মণ বাজারে উঠেছে। এই ইলিশের দাম বেশি এবং সাইজেও বড়। এক কেজি সাইজের পদ্মার ইলিশ ১৩০০ টাকা, আর দেড় কেজির ইলিশ ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকা এবং ৮০০ গ্রামের ইলিশ ১০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এখন দিন যত যাবে, ঘাটে পদ্মার ইলিশের পরিমাণ বাড়বে বলে জানান ব্যবসায়ী ইউসুফ বন্দুকসী।
চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক শবে বরাত বলেন, আজকেও মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে দেড় থেকে ২ হাজার মণ ইলিশ এসেছে। আশা করা হচ্ছে, দ্রুত পদ্মার ইলিশের দামও কমবে। আর বর্তমানে এখানে ইলিশের যে দাম, তা সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যেই রয়েছে।