ঢাকায় আসছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট। আগামী ১৩ই আগস্ট রাতে বাংলাদেশে পৌঁছাচ্ছেন তিনি। চারদিনের সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ছাড়াও পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র, আইন ও শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। তাছাড়া কক্সবাজারস্থ রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন এবং শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক হবে তার। রাজধানীর ইস্কাটনস্থ বিস মিলনায়তনে একটি সেমিনারে বক্তৃতা করার পাশাপাশি ঢাকার জাতিসংঘ অফিসের আয়োজনে বাংলাদেশে থাকা পশ্চিমা কূটনীতিক, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি, মানবাধিকার কর্মী ও এনজিও প্রতিনিধি দলের সঙ্গে পৃথক পৃথক রুদ্ধদ্বার বৈঠক করবেন তিনি।
কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, মিশেল ব্যাচেলেটের সফরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, গণমাধ্যম ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা, গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগগুলো নিয়ে আলোচনা হতে পারে। এছাড়া বাংলাদেশের সর্বজনীন মানবাধিকার পরিস্থিতিও পর্যালোচনা হবে। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের ঢাকা সফর বিষয়ে জানতে চাইলে জেনেভায় নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোস্তাফিজুর রহমান রাতে মানবজমিনকে বলেন, জাতিসংঘের উচ্চ পর্যায়ের ওই কর্মকর্তা এবং তার সফরসঙ্গীদের ঢাকা সফরের প্রস্তাবে ইতিবাচক সরকার।
হাইকমিশনার এবং তার টিমকে যথাযথ প্রটোকলে স্বাগত জানানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। সফরটি আগস্টের মাঝামাঝিতে হতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, হাইকমিশনারের সফরের অনেক কিছুই এখনো চূড়ান্ত হয়নি। ১৪-১৭ই আগস্ট সম্ভাব্য তারিখ ধরে অনেক আগে থেকেই প্রস্তুতি চলছে। বিস্তারিত না বললেও জাতিসংঘ অফিসের চাওয়া মতে গুরুত্বপূর্ণ অ্যাপয়েন্টমেন্টগুলো ঠিক করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে বলে জানান রাষ্ট্রদূত মিস্টার রহমান।
কূটনৈতিক সূত্র বলছে, বৈশ্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতি দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত জাতিসংঘের ওই মুখ্য মানবাধিকার কর্মকর্তার এটাই হতে যাচ্ছে প্রথম বাংলাদেশ সফর। বহু বছর ধরে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার এবং তার দপ্তর ‘অফিস অব দ্য ইউনাইটেড ন্যাশন্স হাইকমিশনার ফর হিউম্যান রাইটস’ (ওএইচসিএইচআর)-এর র্যাপোর্টিয়াররা বাংলাদেশ সফরের আগ্রহ দেখিয়ে আসছেন। কিন্তু শিডিউল জটিলতা এবং অন্য সীমাবদ্ধতায় তা হয়ে ওঠেনি। সেই প্রেক্ষাপটে প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষ কর্মকর্তা অর্থাৎ জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি পদমর্যাদার ওই কর্মকর্তার আসন্ন সফরটির বাড়তি তাৎপর্য রয়েছে মনে করা হচ্ছে।