এক দশকে বাংলাদেশ ক্রিকেটের যে উন্নতি হয়েছে তা বলা বাহুল্য। দলে জায়গা করার লড়াই বেড়েছে ক্রিকেটারদের মধ্যে। একবার ছিটকে যাওয়া খেলোয়াড়ের প্রত্যাবর্তন কষ্টসাধ্য হয়ে উঠছে দিনদিন। এমনই দুজন লড়াকু পেসার আল আমিন হোসেন ও শফিউল ইসলাম। একসময় যাদের বল খেলতে খেই হারাতেন ব্যাটাররা, তারাই অনিয়মিত হয়ে পড়েছেন টিম টাইগার্সে। দু’জনই সবশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন ২০২০ সালে। বাইশ গজে টিকে থাকার একমাত্র উপায় ঘরোয়া ক্রিকেট। এবার জনপ্রিয় টুর্নামেন্ট বিগ ব্যাশে ডাক পেয়েছেন আল আমিন ও শফিউল। অস্ট্রেলিয়ার ফ্র্যা াইজি টুর্নামেন্টটির প্লেয়ার্স ড্রাফটে রয়েছে চলতি বছর অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলে আসা অলরাউন্ডার রিপন মন্ডলের নামও।
বিগ ব্যাশ লীগের জন্য ১৬৯ জন বিদেশি ক্রিকেটারের নাম নিবন্ধন করা হয়। সেখান থেকে বিগ ব্যাশের আয়োজকরা আজ (বুধবার) ৯৮ জন বিদেশি ক্রিকেটার বেছে নিয়েছেন। যে তালিকায় আছেন তিন বাংলাদেশি।
শফিউল বিপিএল ছাড়া এখনও দেশের বাইরে কোনো ফ্র্যা াইজি লীগ খেলেননি। আল আমিন বিপিএল ছাড়াও গত বছর লঙ্কান প্রিমিয়ার লীগে (এলপিএল) খেলেছেন। তরুণ রিপন অবশ্য এখনও বড় মে খেলার সুযোগ পাননি। আগামী ২৮ই আগস্ট বিগ ব্যাশের ড্রাফট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা আছে। সেদিনই চূড়ান্ত হবে বাংলাদেশি কোনো ক্রিকেটার জনপ্রিয় এই ফ্র্যা াইজি লীগে দল পাবেন কিনা।
যদিও বিগ ব্যাশে দল পেলেও ৩ বাংলাদেশির কারও খেলার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। বিসিবি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বিপিএল চলাকালীন কোনো ক্রিকেটারকে বিদেশি কোনো টুর্নামেন্ট বা লীগ খেলার অনুমতি দেয়া হবে না। বিগ ব্যাশের আসন্ন মৌসুম শুরু হবে আগামী ১৩ই ডিসেম্বর। প্রায় দুই মাসের এই টুর্নামেন্টে ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে আগামী বছরের ৪ঠা ফেব্রুয়ারি। এদিকে বাংলাদেশের প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগামী আসর মাঠে গড়াবে ২০২৩ সালের ৫ জানুয়ারি, শেষ হবে ১৬ ফেব্রুয়ারি। অর্থাৎ বিগ ব্যাশ চলার সময়ই চলবে বিপিএলও।