মাতৃ ও শিশু পুষ্টি উন্নয়ন এবং আগামী প্রজন্মকে মেধাবী করে গড়ে তোলার অঙ্গীকার সামনে নিয়ে জামালপুরে নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে জামালপুরে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ সমাপ্ত হয়েছে। এ উপলক্ষে জামালপুর শহরে শোভাযাত্রা শেষে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ নজরুল ইসলাম সভাকক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সিভিল সার্জন ডাঃ প্রনয় কান্তি দাস। এবারে মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহের প্রতিপাদ্য ছিল মাতৃদুগ্ধ পান এগিয়ে নিতে, শিক্ষা সহযোগিতা হবে বাড়াতে।আলোচনা সভায় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডাঃ মাহফুজুর রহমান, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ উত্তম কুমার সরকার, বক্ষব্যধি হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা স্বাগত সাহা, উন্নয়ন সংঘের এপি ব্যবস্থাপক মিনারা পারভীন, এসইডিএইচসি ব্যবস্থাপক লিটন সরকার, ওয়ার্ল্ড ভিশন প্রতিনিধি বজলুর রহমান, ব্র্যাক জেলা সমন্বয়ক মুনির হোসেন খান প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জ্যেষ্ঠ স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা খন্দকার বদরুল আলম সহায়তায় ছিলেন জুনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা আনিছুর রহমান।সভায় স্বাস্থ্য বিভাগ, জেনারেল হাসপাতালের কর্মচারী, নার্স ইনস্টিটিউট, উন্নয়ন সংঘ, ওয়ার্ল্ড ভিশন, ব্র্যাক, মেরি ক্লিনিকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শতাধীক প্রতিনিধি অংশ নেন।বিভিন্ন সংস্থার সহায়তায় অনুষ্ঠান আয়োজন করে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। অনুষ্ঠিত হয়।অপরদিকে ‘মাতৃদুগ্ধ পান এগিয়ে নিতে, শিক্ষা সহযোগিতা হবে বাড়াতে’ এই শ্লোগান তুলে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ উদযাপনের অংশ হিসেবে উন্নয়ন সংঘের জামালপুর এরিয়া প্রোগ্রাম (এপি) এর উদ্যোগে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। রবিবার জামালপুর পৌরসভার পাথালিয়া নাওভাঙ্গা চরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উন্নয়ন সংঘের এপি ব্যবস্থাপক মিনারা পারভীন। আলোচনায় অংশ নেন সিএফ শাপলা খাতুন, উপকারভোগী রিনা বেগম, স্বপ্না বেগম প্রমুখ। সভা সঞ্চালনা করেন উন্নয়ন সংঘের এপির সিডিও সাব্বির হোসেন রিয়াদ। সভায় গর্ভবতী, প্রসুতি এবং দুগ্ধদানকারী ২০জন মা উপস্থিত ছিলেন।উল্লেখ মাতৃদুগ্ধের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের পাশাপাশি ওয়ার্ল্ড ভিশন ও উন্নয়ন সংঘের মাধ্যমে বাস্তবায়নাধীন জামালপুর এরিয়া প্রোগাম (এপি) সাতদিন ব্যাপী সচেতনতামূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে।শিশুদের মৌলিক চাহিদা পুরণের জন্যে খানার স্থায়ী আয়ের উৎসে সহযোগিতা, মা ও শিশুর স্বাস্থ্য ও পুষ্টি, ওয়াস, শিশু সুরক্ষা এবং অংশগ্রহণ কার্যক্রমের মাধ্যমে সমাজের অবস্থা উন্নতির লক্ষ্যে জামালপুরে শুরু হয়েছে এরিয়া প্রোগ্রাম (এপি) নামে ১০ বছর মেয়াদী কর্মসূচি। ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বেসরকারি সংস্থা উন্নয়ন সংঘ জামালপুরে এপি বাস্তবায়ন করছে।সূত্র জানায়, এরিয়া প্রোগ্রামটি জামালপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীরচর, শরিফপুর ইউনিয়ন এবং জামালপুর পৌরসভার ১, ১০, ১১, ও ১২ নং ওয়ার্ডে বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। এই কর্মসূচির আওতায় ৩৯টি গ্রামে ২৩ হাজার ২৮২ জন উপকারভোগী নির্বাচন করা হয়েছে। কর্মসূচির সকল কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করতে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ নিয়ে গ্রাম উন্নয়ন কমিটি গঠন করা হয়েছে। কার্যক্রমের মধ্যে জীবীকায়ন, স্বাস্থ্য, পুষ্টি, ওয়াস এবং স্পন্সরশীপ অন্যতম। এরমধ্যে আবার খানা জরিপ, দক্ষতা উন্নয়ন, পরিবেশ সম্মত গ্রাম প্রতিষ্ঠা, জিঙ্ক ধান উৎপাদন, অতিদারিদ্রের উন্নয়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, দল গঠন, সক্ষমতার বিকাশ ঘটানো, প্রসবপূর্ব ও প্রসব পরবর্তী সেবা, শিশু অধিকার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি, বিপদাপন্ন শিশুর তালিকা তৈরিসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। কর্মসূচি বাস্তবায়নে অর্থায়ন করছে হংকং।