মুন্সীগঞ্জে শত বছর পুরনো হাজার পরিবারের ব্যবহৃত পুকুর ভরাট করে মার্কেট নির্মানে মরিয়া একটি পক্ষ। পরিবেশ অধিদপ্তরে অভিযোগ করেও কোন সুফল পাচ্ছেন না অভিযোগকারী কাজী ফারুক রশীদ। মুন্সীগঞ্জের সদরে মিরকাদিমের কাজীকসবা মৌজাস্থ কাজীবাড়ীর বৃটিশ আমলের ঐতিহ্যবাহী পুকুর জোর করে দখল করে (ওয়ারিশ গং) ভারট কাজ করছে , দেশের আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে জলাশয় এবং ঐতিহ্যবাহী পুকুরটি ভরাটের কাজ চলমান। দেশের কোন আইন কানুন মানছে না একই সমাপত্তির ওয়ারিশদের একটি পক্ষ। হাজার পরিবারের রান্না বান্না কাজের পানি সরবরাহ হয় এই পুকুর দিয়ে। আশ পাশে সাধারণ মানুষের ব্যবহারের জন্য এবং অগ্নি নির্বাপকের জন্য কোন পুকুর নেই। শত শত পুকুর ভরাট করলেও পরিবেশ অধিদপ্তর কোন ভূমিকা রাখেননি। কারণ তাদের কাছে লিখিত অভিযোগ না দিলে কোন ভূমিকা তারা রাখেন না। ইতিমধে এই পুকুর নিয়ে মুন্সীগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরকেও অবগত করে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে । অনুসন্ধানে গেলে জানা যায় কাজি কসবা মৌজার ৮৬/৮৯ খতিয়ানের এর এস দেেগর ১১১০ নং বৃটিস আমরের পুকুরটি জবর দখল করে ভরাটের কাজ করছে একই যোতের মালিকগন। যেখানে পর্চা ও নকসায় ভূমির রকম পুকুর আছে। সেখানে কি করে পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়াই ভরাট করে মার্কেট নির্মাণ কাজ চলছে? এমন প্রশ্ন এলাবাসীর ও বাকী ওয়ারিশদের। এমন বিষয় অভিযেগকারী একই যোতের মালিক কাজী ফারুক বলেন, এই পুকুিেটর যোতসত্ত মালিকানা আমাদেরই বংশের সকলে। এই পুকুর ভরাট করলে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র লাগে এবং সকল ওয়ারিশদেরও অনুমতি প্রয়োজন। কিন্তু পেশি শক্তির বলে বিনা অনুমতিতে ভরাট করে মার্কেট নির্মাণের পায়তারা করছে। পুকুরের অনেকাংশ বালু ভরাট করে ভরে ফেলছে এ বিষয়ের বিরুদ্ধে নালিশ করছি। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য সংস্থা আছে বলেই তাদের নিকট আমাদের এই অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে বেআইনী ভাবে ওয়ারিশদের ঠকানো এবং অপর দিকে সরকারী বিধি নিষেধ না মেনে কাজী ইউসুফ ও কাজী ফুলন ভরাটের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে তাদের বিষয় মুন্সীগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরেও কিভাবে ভরাটে করছে তা বোধগম্য নয়। নাম প্রকাশ না করা শর্তে একজন বলেন, কোন রকমেই এই পুকুর ভরাট করা ঠিক হবে না। যদি ভরাটের প্রয়োজনিয়তা বোধ হয় পরিবেশ ছাড়পত্র লাগবেই। যারা ভরাট করছে তারা একধরনের সন্ত্রাসী ও পেশি শক্তির ভয় দেখিয়েই ভরাটের কাজে হাত দিচ্ছেন। অভিযোগকারী কাজী ফারুক রশীদ বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরও নোটিশ সর্বস্ব ভূমিকা রেখেছে। কার্যকরি তেমন ভূমিকা নিলে কোনভাবেই সড়কের পাশ দিয়ে ভরাট করে ফেলতে পারতো না। এই পুকুরটি ৪১শতাংশ জায়গা নিয়ে ব্রিটিশ আমল থেকে মানুষের উপকারে ব্যবহার হয়ে আসছে। সচ্য পরিস্কার পানি এই পুকুরটি দিয়েই পাওয়া যায়। সেই পুকুরের পানি পাম্প দিয়ে সেচে হা হা কার করে ফেলে সড়কের পাশ্ব দিয়ে পুরোটাই ভরে ফেলেছে এবং মার্কেট করার জন্য তার দিয়ে পুকুরের ভরাট করা জায়গায় চলে আসছে। ৮জন ওয়ারিশের মধ্যে ২ জনের ওয়ারিশ পাওয়ার নিয়ে রেজিষ্ট্রি করছে ফুলন মেম্বার। কিন্তু সে কোন অধিকারে এই পুকুরটি ভরাট করছে? পুকুর ভরাটকারী ফুলন মেম্বার এর সেল ফোন ০১৯১৪২৩৩১৯২ নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলে তিনি তার সেলফোন রিসিভ করেননি। এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আখতারুজ্জামান টুকু জানান, অভিযোগের আলোকে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।