গাজীপুরের কাপাসিয়ায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়েরকৃত মামলায় পাঁচ সাংবাদিকসহ ৮জন এই প্রথম বারের মতো ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে বৃহস্পতিবার খালাস পেয়েছেন। চার্জ গঠনের নির্ধারিত তারিখে দীর্ঘ শুনানীর পর বিচারক আস সামস্ জগলুল হোসেন তাদের সকলকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। কাপাসিয়া থানায় ভূক্তভোগী জনৈক ব্যক্তির দায়েরকৃত মামলায় অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয় সাংবাদিকরা তাদের পত্রিকাসহ অনলাইন পোর্টালে সংবাদ প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে অভিযুক্ত সেই নারী বাদী হয়ে কাপাসিয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক দিনকালের কাপাসিয়া প্রতিনিধি এফ এম কামাল হোসেন, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দৈনিক ইনকিলাবের কাপাসিয়া প্রতিনিধি অধ্যাপক শামসুল হুদা লিটন, দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার কাপাসিয়া প্রতিনিধি জাকির হোসেন কামাল, দৈনিক মানব কন্ঠ পত্রিকার তৎকালীন কাপাসিয়া প্রতিনিধি হাসিব খান, দৈনিক লাখোকন্ঠ পত্রিকার কাপাসিয়া প্রতিনিধি মিজান খান শিমুলকে আসামী করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। ২০১৯ সালে পহেলা অক্টোবর দায়েরকৃত মামলায় প্রথমত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোটের হাইকোর্ট ডিভিশন সাংবাদিকদের জামিন মঞ্জুর করেন। ঢাকা বিজ্ঞ সাইবার ট্রাইব্যুনাল (বাংলাদেশ) আদালতে ইসলাম এন্ড এসোসিয়েটস্’র স্বত্বাধিকারী অ্যাডভোকেট মোঃ তরিকুল ইসলামের তত্বাবধানে চার্জ গঠনে দীর্ঘ শুনানী অনুষ্ঠিত হয়। শুনানী শেষে বিচারক জগলুল হোসেন সবাইকে এই মামলার সকল দায় থেকে তাদের অব্যাহতি প্রদান করেন। এসময় অন্যানের মাঝে আইনী সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট সানজিদা তাসকিন, অ্যাডভোকেট দবির উদ্দিন, অ্যাডভোকেট মোঃ শাহরিয়ার ভূইঁয়া। সরকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হিসাবে ছিলেন মোঃ নজরুল ইসলাম শামীম। দীর্ঘ প্রায় ৩ বছর পর আদালতের মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের সত্য প্রতিষ্ঠা হওয়ায় কাপাসিয়া প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ এবং স্থানীয় সাংবাদিকরা সন্তুষ্টি ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।