বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত মাইলস্টোন কলেজে দ্বাদশ শ্রেণির বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা বনফুল আদিবাসী গ্রীনহার্ট কলেজে মনমাতানো ক্লাস পার্টি অনুষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের সরকারের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান অধ্যাপক ইউনূসের রাষ্ট্রপতির কাছে সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ প্রধান বিচারপতির দেশমাতৃকার বিরুদ্ধে দেশী-বিদেশী চক্রান্ত থেমে নেই: তারেক রহমান তুর্কি রাষ্ট্রদূতের সাথে জামায়াতের সৌজন্য সাক্ষাৎ চিন্ময় সমর্থক জঙ্গীদের হামলায় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম নিহত অভ্যন্তরীণ বিষয় হস্তক্ষেপ: চিন্ময় ইস্যুতে ভারতের উদ্যোগ শাপলা চত্বরে গণহত্যায় হাসিনাসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ

শেরপুরে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মুস্তাফিজুরের মিথ্যাচারের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন

জাহিদুল খান সৌরভ, শেরপুর :
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২৫ আগস্ট, ২০২২

শেরপুরে এলজিডিথর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান এর বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৪আগস্ট (বুধবার) দুপুরে শেরপুর জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে জেলা ঠিকাদারদের আয়োজনে ওই সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শেরপুর জেলার ঠিকাদার মো, সেলিম উদ্দিন তরফদার। তিনি তার বক্তব্যে বলেন শেরপুর এলজিডি নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান গত মঙ্গলবার সরকারী চাকুরী বিধি লঙ্ঘন করে একটি সংবাদ সম্মেলন করেছেন। তিনি তার লিখিত বক্তব্যে জেলার সম্মানিত ব্যাক্তি বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ভয়ংকর মিথ্যা, কুরুচিপূর্ণ, অত্যান্ত নোংরা ও জঘন্য কথা-বার্তা বলেছেন। নির্বাহী প্রকৌশলীর মত একটি গুরুত্বপূর্ণ চেয়ারের দায়িত্ব পালনকালীন তিনি কোনভাবেই এসব কথা বলতে পারেন না। তিনি আমাদের বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ ছাড়া মনগড়া বক্তব্যে বলেছেন জোর করে স্পেসিফিকেশন বহির্ভূত কাজ করা হচ্ছে এবং পিস্তল ঠেকিয়ে অপহরন করা হয়েছে।আমাদের বক্তব্য হচ্ছে- তিনি এসব তথ্য কোথায় পেলেন? গত ১৪-১৫ বছরে কমপক্ষে ৫-৭ জন নির্বাহী প্রকৌশলী শেরপুরে এসেছেন। তারা কোনদিন এসব অভিযোগ করেননি। শুধু তাই নয় যদি কেউ পিস্তল ঠেকিয়ে কাউকে উঠিয়ে নিয়ে যেত তাহলে সাংবাদিক ভাইয়েরা তা অবশ্যই জানতো এবং রিপোর্ট হতো। কিন্তু এ ধরনের কোন রিপোর্ট পত্রিকা কিংবা সামাজিক গণমাধ্যমে আসেনি। তাই নির্বাহী প্রকৌশলী তার অপকর্ম ঢাকতে মিথ্যা, বানোয়াট ও মনগড়া সব অভিযোগ করেছেন। যা আইনত মানহানিকর ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, নির্বাহী প্রকৌশলী বিরুদ্ধে করুয়া বাজার রাস্তা ও ভীমগঞ্জ বাজার হতে বলায়েরচর ২০০০ মিটার রাস্তার কাজের সাথে প্রকৌশলী জড়িত এ কাজ গুলো শেষ না করেই ফাইনাল দেখানোর চেষ্টা করিতেছে এবং ঠিকাদারের নামে কোন নিজস্ব রোলার না থাকার পরেও রোলারের টাকা এলজিইডিতে জমা হয়নি। এ রকম আরও অনেক রাস্তা আছে যে কাজের সাথে তিনি জড়িত। মোবাইল মেইনট্যানেন্স এর নামে অর্থ বছরে যে টাকা বরাদ্দ আসে সে গোপনে কোটেশন করে নিজের প্রছন্দের ঠিকাদারের নামে নিয়ে কাজ না করেই টাকা আত্মসাৎ করে। ইতিমধ্যে ময়মনসিংহের ১৮ টি প্রকল্পের কাজ মেসার্স সালমা এন্টারপ্রাইজকে নিয়ে দেয়। যার প্রোপাইটার তার সহোদর ছোট ভাই মোঃ সোহরাব আলি।কাজগুলো এখনো চলমান।মনমনসিংহের বড় সুনামধন্য ঠিকাদারকে জাহাঙ্গীরকে শারিরীক মানসিক নির্যাতন করে যা সহ্য করতে না পেরে তিনি ব্রেইন স্টোক করে।নিজের সহোদর ভাইয়ের কাজগুলো না করে চলতি বিল দেওয়ার জন্য তাৎকালিন ভালুকা উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার মোঃ ফরিদ মিয়াকে বিল দিতে বলে। বিল না দিলে তার সাথে হাতাহাতি পর্যন্ত হয়।বর্তমানে তিনি নির্বাহি প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত আছে।বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি করে আসছেন নির্বাহি প্রকৌশলী মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান । ফলে প্রকল্পের বাস্তবায়ন নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন ঠিকাদাররা। এর প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে তারা বিচারের দাবি তুলেন এবং প্রকৌশলীকে দ্রুত শেরপুর থেকে প্রত্যাহার করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে অন্যানোদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঠিকাদার আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান হাবিব, মো. জিয়াউল হক, মো. গোলাম কিবরিয়া তাঁরা, মো. ইব্রাহিম খলিল মেহেদী প্রমুখ। এসময় শেরপুর জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com