দেশে গত ৮ মার্চ করোনা ভাইরাস আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। প্রথম আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার ঠিক ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে প্রথম কোন রোগীর মৃত্যু হয়। শুরুর দিকে আক্রান্ত মৃতের সংখ্যা কম থাকলেও পর্যায়ক্রমে তা বৃদ্ধি পেতে থাকে। শুরুর দিকে করোনাভাইরাস শনাক্তকরণে শুধুমাত্র স্বাস্থ্য অধিদফতরের আইডি সিআরএর ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করা হলেও বর্তমানে সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে সর্বমোট ৮২টি ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষা চলছে।
গত প্রায় পাঁচ মাসে রাজধানীসহ সারাদেশের ৮২টি ল্যাবরেটরিতে সর্বমোট ১১ লাখ ৮৫ হাজার ৬১১টি নমুনা পরীক্ষা করে ২ লাখ ৩৯ হাজার ৮৬০ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস ধরা পড়েছে। আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ১৬২ জনের আর আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৩৬ হাজার ২৫৩ জন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা গেছে গত পাঁচ মাসের (মার্চ থেকে আগস্ট) মধ্যে জুন মাসে ৯৮ হাজার ৩৩০ জন আক্রান্ত হন। জুন মাসে গড়ে প্রতিদিন ৩ হাজার ২৭৮ জন আক্রান্ত হন। আর সর্বোচ্চ সংখ্যক মৃত্যু হয় জুলাই মাসে ১ হাজার ২৬৪ জনের। শতাংশ হিসেবে গড়ে প্রতিদিন ৪০ দশমিক ৭৭ জনের মৃত্যু হয়। ২৯ জুন একদিনে সর্বোচ্চ ৪ হাজার ১৪ জন আক্রান্ত এবং ৩০ জুন একদিনে সর্বোচ্চ ৬৪ জনের মৃত্যু হয়।
মার্চ মাসে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫১। এরপর এপ্রিল, মে, জুন ও জুলাই মাসে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৭ হাজার ৬১৬, ৩৯ হাজার ৪৮৬, ৯৮ হাজার ৩৩০ ও ৯২ হাজার ১৭৮। একই সময়ে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৫, ১৬৩, ৪৮২, ১ হাজার ১৯৭, ১ হাজার ২৬৪।
এছাড়া ১ আগস্ট ২ হাজার ১৯৯ জনের আক্রান্ত হওয়ার কথা এবং ২১ জনের মৃত্যুর কথা জানানো হয়েছে।
গতকাল থেকে আগস্ট মাস শুরু হয়েছে। সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন আগস্ট মাসের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি কী হবে?
গত ২৪ ঘন্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ১৯৯ জন এবং ২১ জনের মৃত্যু হলেও নমুনা পরীক্ষার হিসেবে আক্রান্তের শতকরা হার অনেক বেশি।
বাবু/এমআইপি