বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত মাইলস্টোন কলেজে দ্বাদশ শ্রেণির বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা বনফুল আদিবাসী গ্রীনহার্ট কলেজে মনমাতানো ক্লাস পার্টি অনুষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের সরকারের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান অধ্যাপক ইউনূসের রাষ্ট্রপতির কাছে সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ প্রধান বিচারপতির দেশমাতৃকার বিরুদ্ধে দেশী-বিদেশী চক্রান্ত থেমে নেই: তারেক রহমান তুর্কি রাষ্ট্রদূতের সাথে জামায়াতের সৌজন্য সাক্ষাৎ চিন্ময় সমর্থক জঙ্গীদের হামলায় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম নিহত অভ্যন্তরীণ বিষয় হস্তক্ষেপ: চিন্ময় ইস্যুতে ভারতের উদ্যোগ শাপলা চত্বরে গণহত্যায় হাসিনাসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ

বাড়ছে শহীদের মিছিল

শাহজাহান সাজু:
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২২

রাজপথে প্রতিদিন বাড়ছে গণতন্ত্রকামী প্রতিবাদী মানুষ

নারায়ণগঞ্জে যুবদলকর্মী শাওন নিহত
প্রতিদিন বড় হচ্ছে গণতন্ত্রকামী ভোটাধিকারহারা মানুষের মিছিল। সাথে সাথে বাড়ছে শহীদের মিছিল। নারায়ণগঞ্জে পুলিশ ও বিএনপি’র সংঘর্ষে একজন শহীদ হয়েছেন শাওন (২৫) নামের এক যুবদলকর্মী তিনি যুবদল কর্মী বলে জানা গেছে। শাওনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি। তিনি জানান, শাওন পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। তিনি ফতুল্লা থানা যুবদলের কর্মী ছিলেন। এছাড়া, যুবদল, ছাত্রদল, কৃষকদলসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিপুল সংখ্যা নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি। বিএনপি’র প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে নারায়ণগঞ্জে দলের র‌্যালিতে পুলিশের বাধার পর সংঘর্ষ হয়। এসময় পুলিশ টিয়ারসেল ও গুলি চালায়। এতে শতাধিক নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধসহ আহত হন। আহত শাওনকে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নাজমুল হোসেন বিপুল বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিহত শাওনের বুকে একটি গুলির চিহ্ন রয়েছে। এদিকে সংঘর্ষে আহত হয়েছেন জেলা ছাত্রদল সহ-সভাপতি সাগর সিদ্দিকী, রূপগঞ্জ থানা ছাত্রদল নেতা সুলতান, বিএনপি নেতা কবীর শেখ, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সদস্য সাদেক হোসেন, জেলা যুবদলের সদস্য সদচিব মশিউর রহমান রনি, ফরিদ হোসেন সিকদার, এডভোকেট শাখাওয়াত হোসেন সহ শতাধিক নেতাকর্মী। ১ সেপ্টেম্বর দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী বর্ণাঢ্য র‌্যালি রাজধানী মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়: গতকাল বৃহস্পতিবার নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বিকালে সোয়া ৪টায় শুরু হওয়া র‌্যালিটি নাইটেঙ্গল মোড়, বিজয় নগর সড়ক, পল্টনের মোড় হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবে গিয়ে শেষ হয়। বড় আকৃতির জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকার পাশাপাশি রঙ-বেরঙের ব্যানার-ফেষ্টুন, জিয়াউর রহমান-খালেদা জিয়া-তারেক রহমানের প্রতিকৃতিসহ নানা বাদ্যযন্ত্র নিয়ে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের হাজার হাজার নেতা-কর্মীরা এই র‌্যালিতে অংশ নেয়। র‌্যালীতে ঘোড়ার গাড়ি ও হাতিও ছিলো।
র‌্যালির আগে ট্রাকের ওপর দাঁড়িয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘‘ আমরা এই র‌্যালির মাধ্যমে সমগ্র দেশবাসী ও এই সরকারকে জানিয়ে দেবো যে, বিএনপি এখন সবচেয়ে বড় দল। এই দল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, এদেশের মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা ও আধুনিক বাংলাদেশের রুপকার শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সাহেব।” ‘‘এই দলকে শক্তিশালী করেছেন, বিকশিত করেছেন, জনগনের মধ্যে একে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি হচ্ছেন আমাদের চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তিনি এখনো এই গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করছেন এবং এই ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের মিথ্যা মামলায় অন্তরীন অবস্থায় আছেন, অত্যন্ত অসুস্থ অবস্থায় আছেন।”
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী দিন নারায়নগঞ্জে পুলিশের হামলায় যুব দলের শাওন প্রধানকে হত্যার ঘটনাসহ প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে দলের নেতা-কর্মীদের আত্মত্যাগের কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ আপনারা দেখেছেন, কিছুদিন আগে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য কমানোর দাবিতে আমাদের আন্দোলনের কর্মসূচি করতে গিয়ে ভোলাতে আমাদের ছাত্র দলের নেতা নুরে আলম ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুর রহিম পুলিশের গুলিতে শহীদ হয়েছে।” ‘‘ এই সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে আজকে বাংলাদেশ থেকে গণতন্ত্রকে নির্বাসিত করেছে। আপনারা জানেন যে, তারা জনগনের অধিকার করেছে। আমাদের নেত্রী যিনি সারাটা জীবন গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন তাকে গৃহ অন্তরীন করে রেখেছে। আমাদের নেতা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তাকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে বিদেশে নির্বাসিত করে রেখেছে। আমাদের ৩৫ লক্ষ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।” তিনি বলেন, ‘‘ যখন মানুষ তাদের ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য আন্দোলন করছে তখন তারা(সরকার) মনে করেছে চুরি করে, গুম করে, হত্যা করে, অত্যাচার-নির্যাতন করে এই আন্দোলনকে দমিয়ে রাখবে। এই বিএনপির জন্মই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য।”
‘‘ বাকশাল থেকে, একদলীয় শাসন ব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বিএনপি গঠন করে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সংসদীয় গণতন্ত্র দিয়েছে এ্ বিএনপিকে সামনে নিয়ে এসে স্বৈরাচারের সাথে লড়াই করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। আজকেও দেশের মানুষ এই সংগ্রাম করছে, লড়াই করছে গণতন্ত্রের জন্য। আমরা সোচ্চার করে বলছি, গণতন্ত্রের জন্য এই আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্টকে সরিয়ে সত্যিকার অর্থেই গণতন্ত্র সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আমরা যদি দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে চাই, আসুন আজকে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথ দখল করে দূর্বার আন্দোলন করে এই সরকারকে পরাজিত করতে হবে।” র‌্যালিতে সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বাতিল, নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর, খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিও তুলে ধরেন বিএনপি মহাসচিব।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com