শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৮ পূর্বাহ্ন

দশমিনায় আউশের বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি

কামরুল ইসলাম দশমিনা (পটুয়াখালী)
  • আপডেট সময় রবিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২

চলতি মৌসুমে দশমিনায় আউশ ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ভালো ফলনের পাশাপাশি ধানের মূল্য ভালো পেয়ে খুশি উপকূলীয় অঞ্চলের কৃষকরা। আগামীতে তারা আরও বেশি জমিতে আউশ চাষ করতে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।দশমিনা সদরের পুজাখালো গ্রামের কৃষক আব্দুর রহমান চলতি মৌসুমে ৬৫ শতক জমিতে আউশ ধানের আবাদ করেছিলেন। আবাদ করতে গিয়ে জমি চাষ, বীজ, শ্রমিক ও সার বাবদ খরচ হয়েছিল ১২ হাজার টাকা। জমি থেকে আউশ ধান কাটার পর ফলন হয়েছে ২৫ মণ। প্রতি মণ ধানের এখন বাজার দর এক হাজার থেকে ১২শ’ টাকার মতো। এই হিসাবে খরচ বাদে তিনি ধান থেকে মুনাফা পাবেন ১৩ থেকে ১৫ হাজার টাকা। এ ছাড়া ধানের খড় কুটো আলাদা বিক্রি করে আরও তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা আসবে। উপজেলার বড়গোপালদী গ্রামের নজির মুন্সী জানান, উন্নত জাতের আউশ ধান আবাদ করে তিনি ভাল ফলন পেয়েছেন। বাম্পার ফলন এবং ভালো দাম হওয়ায় আগামী বছর আউশ ধানের আবাদ আরও বাড়িয়ে দেবেন জানান তিনি।একই এলাকার কৃষক বেল্লাল ভূঁইয়া জানান, অধিকাংশ কৃষকের এবার আউশ ধানের ভালো ফলন হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় এবং দাম ভালো পেয়ে কৃষকরা বেশ খুশি। আগামীতে আউশ ধানের আবাদ বাড়বে এমনটাই জানান তিনি।গছানী এলাকার কৃষক কাজী শাহজাহান জানান, আগে আউশ ধান ফলন খুব একটা হতো না। কিন্তু বর্তমানে উন্নত জাতের আউশ ধান চাষ করে কৃষকরা বেশ লাভবান হয়েছেন। বিশেষ করে চলতি মৌসুমে উন্নত জাতের আউশ ব্রি ধান ৮৪,৮৩,৮৫,২৭ আবাদ করে কৃষকরা ভালো ফলন পেয়েছেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাফর আহমেদ জানান, চলতি আউশ ধান মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার ৯শত ৫০ হেক্টর জমির বিপরীতে উপজেলায় আবাদ হয়েছিল ১ হাজার হেক্টর জমিতে। এপ্রিল মাসের দিকে আউশ ধান রোপণ করার সময় পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হয়নি। এ জন্য কৃষকদের কিছুটা সমস্যা হয়েছে। তবে এবার আউশ ধানের বাম্পার ফলন যেমন হয়েছে, তেমনি ধানের ন্যায্য দাম পেয়েছে কৃষক। আগামীতেও আউশ ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি বিভাগ।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com