মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান অভিযান এবং এর ফলে বাংলাদেশের ভেতরে ওইদেশ থেকে গোলা এসে পড়ার ঘটনার কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা। রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং চয়ে মোয়েকে তলব করে এ বিষয়ে একটি কূটনৈতিক আনুষ্ঠানিক পত্র হস্তান্তর করা হয়। গত ১৫ দিনের মধ্যে মিয়ানমার রাষ্ট্রদূতকে তিন দফা সমন করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার
অনুবিভাগের
মহাপরিচালক মিয়া মাইনুল কবির রাষ্ট্রদূতকে সমন করেন।
এ বিষযে একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘আজ সকালে রাষ্ট্রদূতকে সমন করা হয় এবং প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক হয়। এ বিষয়ে বাংলাদেশের অসন্তুষ্টির বিষয়টি তাকে জানানো হয়।’ রাষ্ট্রদূতকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় তলব করা হয় জানিয়ে তিনি বলেন, সীমান্তে মিয়ানমারের অভিযানের কারণে বাংলাদেশের প্রভাব বিষয়ে কড়া প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি তাদের এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য রাখাইনে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা প্রয়োজন এবং সেটির বিষয়েও বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তাগিদ দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমের তুমব্রু সীমান্তের রেজু আমতলী বিজিবি বিওপির আওতাধীন সীমান্ত পিলার ৪০-৪১ এর মাঝামাঝি স্থানে মিয়ানমার সীমান্তের ওপারে সেনাবাহিনীর দুটি যুদ্ধবিমান এবং দুটি ফাইটিং হেলিকপ্টার টহল দেয়। সে সময় তাদের যুদ্ধবিমান থেকে প্রায় ৮-১০টি গোলা ছোড়া হয়। এ ছাড়া হেলিকপ্টার থেকেও আনুমানিক ৩০ থেকে ৩৫টি গুলি করতে দেখা যায়। যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া দুটি গোলা সীমান্ত পিলার ৪০ বরাবর আনুমানিক ১২০ মিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পড়ে। এই ঘটনার পর থেকে সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বিজিবি।
এর আগে, রবিবার (২৮ আগস্ট) বেলা ৩টার দিকে মিয়ানমার থেকে নিক্ষেপ করা দুটি মর্টারশেল অবিস্ফোরিত অবস্থায় ঘুমধুমের তমব্রু উত্তর মসজিদের কাছে পড়েছিল।