যে কোনো উৎসব-পার্বণ হলুদ ছাড়া অসম্পূর্ণ থেকে যায়। রূপচর্চার দুনিয়াতেও চিরকাল হলুদ রাজত্ব করে এসেছে। মুখের নিষ্প্রাণ বিবর্ণভাব কাটিয়ে সতেজ উজ্জ্বলতা এনে দিতে, মুখের কালো দাগছোপ হালকা করতে, ব্রণ-ফুসকুড়ি নির্মূল করার কাজে বা মুখের যে কোনো প্রদাহ কমাতে হলুদের ব্যবহার প্রাচীন কাল থেকে। তবে শুধু কাঁচা হলুদ মুখে মাখলে ত্বক ভীষণ হলদে দেখায়, তাই তার সঙ্গে যদি মেশাতে পারেন বেসন বা চন্দন, তা হলে ফেসপ্যাকের কার্যকারিতা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। তেলতেলেভাব কাটিয়ে আর ত্বকের আর্দ্রতা বাড়িয়ে তুলে ত্বক কোমল, উজ্জ্বল রাখতে তাই বেছে নেয়া যেতেই পারে হলুদ দিয়ে তৈরি কয়েকটি দুর্দান্ত ফেসপ্যাক।
১. ব্রণ কমাতে হলুদ- ব্রণ সমস্যা কম বেশি অনেকেরই হয়। বিশেষ করে গরমে এই সমস্যা প্রকোপ দেখা যায় বেশি। ২ টেবিল চামচ পরিমাণ কাঁচা হলুদ বাটা, ১ টেবিল চামচ পরিমাণ বেসন অথবা চালের গুঁড়ো, ২ টেবিল চামচ টক দই বা দুধ (তেলতেলে ত্বকের ক্ষেত্রে) অথবা অলিভ অয়েল বা নারকেল তেল বা আমন্ড অয়েল (শুষ্ক ত্বকের ক্ষেত্রে) ও ১ টেবিল চামচ মধু। সমস্ত উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করতে হবে। মুখে সমান করে মেখে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রাখতে হবে। এরপর ক্ষার বিহীন ফেসওয়াশ দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। মুখ ধোওয়ার পর প্রথমে টোনার আর সব শেষে ময়শ্চারাইজ়ার অবশ্যই লাগাতে হবে।
২. ত্বকের প্রদাহ কমাতে হলুদ- যাদের ত্বক স্পর্শকাতর তাদের একটুতেই মুখে জ্বালা করে, ত্বক লালচে হয়ে যায়। হলুদের প্যাক প্রদাহ কমিয়ে ত্বক শীতল রাখতে সাহায্য করে। ১ চা চামচ পরিমাণ হলুদ বাটার সঙ্গে আধ চা চামচ পরিমাণ অ্যালোভেরা জেল ও ১ চা চামচ গোলাপজল মিশিয়ে নিতে হবে। মিশ্রণটা ঘন হবে না, বরং বেশ তরলই থাকবে। মুখে আলতো করে লাগিয়ে নিতে হবে। ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই প্যাকটি লাগালে মুখে সামান্য হলদেটে ভাব আসতে পারে। তা না চাইলে মিশ্রণটিতে কয়েকফোঁটা অলিভ বা নারকেল তেল মিশিয়ে নিতে পারেন।
৩. ত্বক কোমল ও উজ্জ্বল রাখতে হলুদ- মুখ খুব নিষ্প্রাণ, ক্লান্ত দেখাচ্ছে? হাতের কাছে হলুদ আর ময়দা থাকলেই সমস্যার সমাধান। ২ টেবিল চামচ ময়দা, ১ চা চামচ হলুদ বাটা, ১ টেবিল চামচ আমন্ড অয়েল ও ৩ টেবিল চামচ দুধ একসঙ্গে মিশিয়ে ক্রিমের মতো মসৃণ পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। মুখে লাগিয়ে মিনিট ১৫ রেখে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।