হাটি হাটি পাপা করে মাত্র স্বল্প কয়েকজন ছাত্রী নিয়ে পদযাত্রা শুরু কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকায় অবস্থিত বকবান্দা নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়টি। প্রতিষ্ঠানের ৯ বছরে শিক্ষা অধিদপ্তরের অনেক বড়বড় কর্তাদের পিছে ঘোরাঘুরি করেও এমপিও ভূক্ত হয়নি। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক শিক্ষিকাগণ মানবেতর জীবণ যাপন করছেন। শত কষ্টের পরেও মানুষ গড়ার কারিগররা শিক্ষা বিস্তারে থেমে নেই। বিদ্যালয়টি থেকে যাদুরচর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দুরত্ব প্রায় ৭ কিঃ মিটার এবং কোমরভাঙ্গী দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও বকবান্দা দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের দূরত্বও প্রায় ৩/৪ কিঃ মিটার। যাহা যোগাযোগ ব্যবস্থাও বেহাল। ২০১৩ সালে এলাকার গণ্যমান্য ও শিক্ষানুরাগী ব্যাক্তিবর্গগণ সার্বিক বিবেচনায় প্রতিষ্ঠানটি স্থাপন করেন। বড় আশায় এলাকার শিক্ষিত বেকার যুবক গুলি অসামাজিকতা রক্ষা পাবে। কিন্তু আজ আশায় গুড়েবালি। বেকারত্ব থেকেই গেল। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রথমে পাঠদানের অনুমতি নিয়ে পাঠদান শুরুর ২ বছর পর ২০১৫ সালে একাডেমিক স্বীকৃতি নেয়া হয়। পরবর্তীতে এমপিও ভুক্তির জন্য অনেক ঘুরাঘুরির পরেও বর্তমান সময় পর্যন্ত এমপিও ভূক্তি করার সম্ভব হয়নি। তবে বর্তমানে এমপিও ভূক্তি প্রতিষ্ঠানের চেয়ে পরিক্ষার ফলাফল ভাল। প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মান ও ফলাফল ভালর কারনে আশপাশ এলাকার ও অন্যদুরত্ব প্রতিষ্ঠানের ছাত্রীদেরকে এ প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করেছেন। বর্তমানে ৬ষ্ট থেকে ১০ শ্রেণী পর্যন্ত প্রায় ১৭০ শত ছাত্রী অধ্যায়নরত। শিক্ষক কর্মচারির সংখ্যা ৯ জন। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার, ডিজিটালদেশ গড়ার মানসকন্যা, শিক্ষানুরাগী, নারী জাতিকে একটি শিক্ষিত জাতি গড়ার অঙ্গীকারে মানুষকে নিরক্ষর মুক্ত করতে জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা গ্রহনের পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলির উপর সু-নজর রয়েছে। এবং চলতি সালেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে হাজার হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিও ভূক্ত করেছেন। মঙ্গা, চরাঞ্চল রৌমারী উপজেলার অবহেলিত অঞ্চলে স্থাপিত যাদুরচর ইউনিয়নের বকবান্দা নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই সরকারের নজরদারী থেকে বঞ্চিত। প্রতিষ্ঠানটি ভৌত অবকাঠামো ভবন নির্মান, বিভিন্ন ফার্নিচার ও আসবাবপত্র বরাদ্দ নেই। এ ব্যপারে অভিভাবকরা জানান, প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষিকাগণ ছাত্রীদেরকে মা বাবার মতো ভালবাসা দিয়ে শিক্ষাদানের ফলে সকল শ্রেণীর ফলাফল ভাল। প্রতিষ্ঠানের জমিদাতা ও পরিচালনা কমিটির সকলে জানান, প্রতিষ্ঠানে লেখা পড়ারমান ভাল হওয়ায় দিনদিন শিক্ষার্থীর সংখ্যাবৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু দুঃখ্যজনক, শিক্ষার আলো ছড়াতে গিয়ে শিক্ষক কর্মচারিদের বেতন ভাতা না পাওয়ায় মানবেতর জীবন যাপন করে যাচ্ছেন। প্রতিষ্ঠানের প্রধান নাসির উদ্দিন বলেন, প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে শিক্ষক কর্মচারিগণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে। শিক্ষা বিস্তারে শিক্ষকদের আন্তরিকতার কোন অভাব নেই। অভাব শুধু প্রতিষ্ঠানটি এমপিও ভূক্ত না হওয়ায় শিক্ষক কর্মচারিগণ মানবেতর জীবন যাপন করে যাচ্ছে। শিক্ষকদের এই দুর্দশা লাঘবের দ্রুত পরিত্রান পেতে চাই শিক্ষানুরাগী, মানবতার মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের কাছে।