কবে নির্মান হবে পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নের সুতাবাড়িয়া নদীর ওপর ভেঙে যাওয়া সেতুটি?। উপজেলা এলজিইডি সূত্র জানিয়েছেন নতুন সেতু নির্মানের জন্য নদীর দুই পাড়ে মাটি পরিক্ষা নিরিক্ষা (সয়াল টেষ্ট) করে শক্ত মাটির লেয়ার না পাওয়ায় ওই স্থানে সেতু নির্মান কাজ বাতিল করে দিয়েছেন জাইকা। জাইকা সেতু নির্মান বাতিল করে দেওয়ায় কবে র্নিমান করা হবে গুরুতাবপূর্ন সেতুটি কেউ জানেন না? ছয় বছর আগে সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় সংশ্লিষ্ট এলাকার ১০ হাজার মানুষের যাতায়াতে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সেতুটি ভেঙে থাকায় প্রতিদিন জীবনের ঝুকি নিয়ে শিক্ষার্থী, বৃদ্ধ, মহিলা ও শিশুরা নৌকায় করে সুতাবাড়িয়া নদী পারাপার হচ্ছেন। সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, দশমিনা উপজেলার খারিজা বেতাগী হাট সংলগ্ন জমিন মৃধা বাজারের ওই সেতু দিয়ে সুতাবাড়িয়া নদী পার হয়ে দশমিনা উপজেলা সদর, খারিজমা বাজার, বড় গোপালদী বাজার, ঠাকুরের হাট বাজার, সানকিপুর বাজার, বেতাগী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বড় গোপালদী দাখিল মাদ্রাসা সহ তিনটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রতিদিন শত শত ছাত্রছাত্রী সহ হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। সেতুটি ভেঙে যাওয়ার পর থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা একটি ছোট ডিঙি নৌকায় জীবনের ঝুকি নিয়ে সুতাবাড়িয়া নদী পারাপার হচ্ছেন। সংশ্লিষ্ট এলাকার হাজার হাজার মানুষ যাতায়াতের জন্য প্রতিদিন সুতাবাড়িয়া নদীর সেতুটি ব্যাবহার করতেন। জনসাধারনের চলাচলের সুবিধার্থে ২০১৪ সালে এডিপির ১০ লাখ টাকা অর্থায়নে পুরাতন লোহার মালামাল দিয়ে সেতুটি নির্মান করা হয়েছিল। ২০১৬ সালের ১৪ ডিসেম্বর একটি বালু ভর্তি কার্গোর ধাক্কায় সেতুটি বিধ্বস্থ হয়ে নুসরাত জাহান নামে ৫ বছরের একটি শিশু নিহত এবং ৫ জন গুরুতর আহত হয়েছিলেন। এরপর নতুন করে সেতুটি নির্মানের জন্য জোরালো দাবী ওঠে। খারিজমা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন, সেতুটি বিধ্বস্থ হওয়ার পর থেকে হাজার হাজার মানুষ চরম দূভোর্গে পড়েছে। বর্তমানে ছোট ডিঙি নৌকায় জীবনের ঝুকি নিয়ে বিদ্যালয়ের শত শত শিক্ষার্থী সহ সাধারন মানুষ সুতাবাড়িয়া নদী পারাাপারা হচ্ছেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ জসিম উদ্দিন বলেন, গুরুত্বপূর্ন ওই সেতুটি পূনরায় র্নিমান না হওয়ায় নদীর পূর্ব পাড়ের মানুষের দশমিনা উপজেলা সদরে যাতায়াতে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান ঝন্টু বলেন, জনগনের চলাচলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ন ওই সেতুটি র্নিমানের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত ভাবে জানানোর পরে জাইকা সেতুটি নির্মানের উদ্দ্যেগ নিয়েছিলেন তারা সেতু নির্মান বাতিল ঘোষনা করায় চরম অনিশ্চয়তায় পরেছে সেতু নির্মান। এলজিইডির দশমিনা উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ মকবুল হোসেন সমকালকে বলেন, জাইকা সেতুটি নির্মানের চুড়ান্ত অনুমোদন দিয়ে দীর্ঘদিন নদীর দুই পাড়ের মাটি পরিক্ষা নিরিক্ষা চালিয়েছিলেন। কিন্তু মাটির লেয়ার সেতু নির্মানের জন্য উপযোগী না হওয়ায় তারা সেতু নির্মান চুক্তি বাতিল করে দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, স্থানীয়ভাবে অর্থ সংগ্রহ করা গেলে মানুষের চলাচলের জন্য ওইখানে সেতু নির্মান করে দেওয়া হবে॥