বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত মাইলস্টোন কলেজে দ্বাদশ শ্রেণির বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা বনফুল আদিবাসী গ্রীনহার্ট কলেজে মনমাতানো ক্লাস পার্টি অনুষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের সরকারের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান অধ্যাপক ইউনূসের রাষ্ট্রপতির কাছে সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ প্রধান বিচারপতির দেশমাতৃকার বিরুদ্ধে দেশী-বিদেশী চক্রান্ত থেমে নেই: তারেক রহমান তুর্কি রাষ্ট্রদূতের সাথে জামায়াতের সৌজন্য সাক্ষাৎ চিন্ময় সমর্থক জঙ্গীদের হামলায় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম নিহত অভ্যন্তরীণ বিষয় হস্তক্ষেপ: চিন্ময় ইস্যুতে ভারতের উদ্যোগ শাপলা চত্বরে গণহত্যায় হাসিনাসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ

এবার টেকনাফ সীমান্তে আসছে মিয়ানমারের গুলির শব্দ

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় সোমবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২

সীমান্ত ঘেঁষা মিয়ানমার অভ্যন্তরে আবারও গোলাগুলি হচ্ছে। আর এই গোলাগুলির শব্দ ভেসে আসছে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত এলাকায়। এতে টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ের খারাংগাগুনা ও উলুবনিয়া গ্রামের ৪০০ পরিবারের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। গতকাল সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই তারা গুলির শব্দ শুনতে পাচ্ছেন। হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী দাবি করেন, ‘তুমব্রুর পর এবার টেকনাফ সীমান্তে গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। ফলে সীমান্তের দুই গ্রামে মানুষ আতঙ্কের মধ্য রয়েছেন। আমরা তাদের খোঁজ রাখছি।’ তিনি বলেন, ‘দুদিন ধরে গোলাগুলির শব্দ আসছে। ফলে খারাংগাগুনা ও উলুবনিয়া গ্রামের ঝুঁকিতে থাকা প্রায় ৪০০ মানুষের তালিকা তৈরি করেছি। তাদের খোঁজ রাখছি। পরিস্থিতি বুঝে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
হোয়াইক্যং সীমান্তের বাসিন্দারা বলেন, ‘আজকে (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে নাফ নদের তীরে খুব গোলাগুলি হচ্ছে। এতে এখানকার লোকজন ভয়ভীতির মধ্যে রয়েছেন। তুমব্রু সীমান্তে মর্টারশেল ও গোলাগুলির ঘটনায় এই সীমান্তের বাসিন্দা হিসেবে কিছুটা ভয় ছিল। কিন্তু এখন এই সীমান্তে গোলাগুলির কারণে ভয় আরও বেড়েছে।’
সীমান্তে বসবাসকারী মো. তাহের বলেন, ‘গোলাগুলির বিকট শব্দে এপারের লোকজন আতঙ্কের মধ্য রয়েছে। হোয়াইক্যংয়ের ১ ও ২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রায় দুই হাজার মানুষ ভয়ের মধ্য রয়েছে। ইতোমধ্যে জনপ্রতিনিধিরা আমাদের তালিকা তৈরি করেছেন। আমরা অনেক ভয়ে আছি।’
টেকনাফ উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা এরফানুল হক চৌধুরী বলেন, ‘এই সীমান্তে গোলাগুলির খবর জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে জেনেছি। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এ ছাড়া সীমান্তের ৩০০ মিটারের ভেতরে বসবাসকারীদের তালিকা করা হয়েছে। পরিস্থিতি অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তাদের খোঁজ-খবর রাখছি।’
টেকনাফ ২-বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার বলেন, ‘সীমান্তে ২৪ ঘণ্টা সজাগ রয়েছে বিজিবি। যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছি। অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে আছে বিজিবি।’
এদিকে, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তে সোমবার (দুপুর ১টা পর্যন্ত) কোনও গোলাগুলির শব্দ পায়নি বলে জানিয়েছেন ঘুমধুম ইউপি সদস্য মো. আলম। তিনি বলেন, ‘গতকাল থেকে গোলাগুলির শব্দ একটু কমেছে। যদিও সীমান্তের মানুষের মাঝে এখনও আতঙ্ক রয়েছে।’
জানা গেছে, ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টারশেল বিস্ফোরণে সীমান্ত এলাকায় বসবাসরত মো. ইকবাল (১৭) নামে এক রোহিঙ্গা নিহত হন। আহত হয়েছেন পাঁচ জন। একই দিন দুপুরে সীমান্ত এলাকা থেকে গরু আনতে গিয়ে মাইন বিস্ফোরণে উইনু থোয়াইং তঞ্চঙ্গ্যা নামে একজনের পায়ের নিম্নাংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
গত ৯ সেপ্টেম্বর বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তের বাংলাদেশ অভ্যন্তরে মিয়ানমার থেকে ছোড়া একটি বুলেট এসে পড়ে। ৩ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৯টায় মিয়ানমারের যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া দুটি গোলা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম এলাকায় পড়ে। তার আগে ২৮ আগস্ট বিকাল ৩টার দিকে মিয়ানমার থেকে নিক্ষেপ করা একটি মর্টারশেল অবিস্ফোরিত অবস্থায় ঘুমধুমের তুমব্রু উত্তর মসজিদের কাছে পড়ে। এসব ঘটনায় তুমব্রু সীমান্তের মানুষের মাঝে আতঙ্ক দেখা দেয়, যা এখনও কাটেনি।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com