মাল্টি-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন চালু, শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার, সফটওয়্যার আপডেট করা এবং ফিশিং চেনা ও রিপোর্ট করা, এই চার পদক্ষেপ অনুসরণ করে সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়। শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা মাসবিষয়ক জাতীয় কমিটি আয়োজিত সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা মাস অক্টোবরের কর্মসূচি ঘোষণার সংবাদ সম্মেলনে এসব পরামর্শ দেয় সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন। সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার মো. মুশফিকুর রহমান বলেন, সরকারি হিসাব অনুযায়ী দেশে বর্তমানে ১৩ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রয়েছেন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যেভাবে প্রসার হচ্ছে, সেভাবে জনগণের মধ্যে ডিজিটাল লিটারেসি বা সাইবার স্বাক্ষরতা গড়ে ওঠেনি। এর ফলে ক্রমেই সাইবার দুর্বৃত্তায়নের শিকার হওয়ার ঘটনা বাড়ছে।
তিনি জানান, সিসিএ ফাউন্ডেশন প্রকাশিত বাংলাদেশের সাইবার অপরাধ প্রবণতা ২০২২ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা যায়, সাইবার নিরপত্তাহীনতার শিকার প্রায় ৮০ শতাংশ ভুক্তভোগীর বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছর। ভুক্তভোগীদের পুরুষ ৪৩ দশমিক ২২ শতাংশ এবং নারী ৫৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ। গত বছরের প্রতিবেদনে ভুক্তভোগীদের ৫০ দশমিক ১৬ শতাংশ বুলিংয়ের শিকার হয়েছিলেন। ২০২২ সালের প্রতিবেদনে তা বেড়ে ৫০ দশমিক ২৭ শতাংশ হয়েছে। হয়রানির শিকার ব্যক্তিদের ৭৩ দশমিক ৪ শতাংশই আইনের আশ্রয় নেন না। লোকলজ্জার ভয়সহ বিভিন্ন কারণে অপরাধের বিষয়ে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন না।
আইএসপিএবির যুগ্ম মহাসচিব মো. আবদুল কাইয়ুম রাশেদ বলেন, আমরা এই সচেতনতা কর্মসূচি জনগণের কাছে পৌঁছে দেবো। সাইবার স্পেস নিরাপদ রাখার প্রথম ধাপ নিজের সচেতনতা। ক্যাম জাতীয় কমিটির সদস্য মোহাম্মদ কাওছার উদ্দিন বলেন, আইএসপিএবি, রবিসহ বিভিন্ন কোম্পানিগুলোর উচিত এ ধরনের সচেতনতা কার্যক্রম চালু করা। আমেরিকান ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি অ্যালায়েন্স (এনসিএসএ) এবং ইনফ্রাস্ট্রাকচার সিকিউরিটি এজেন্সি (সিআইএসএ) পৃথিবীজুড়ে সাইবার সচেতনতা মাসের এই ক্যাম্পেইনে নেতৃত্ব দিচ্ছে। সিসিএ ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট কাজী মুস্তাফিজের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন রবির প্রতিনিধি সঞ্জয় চক্রবর্তী, আবুল হাছান প্রমুখ।