এটা কি রাস্তা, না নদী দেখে মনে হয় চারদিকে থৈ থৈ পানিতে ভরা যেন একটি নদী। মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা টেঙ্গারচর ইউনিয়নে বড়ইকান্দি ভাটেরচর টাওয়ার সংলগ্ন থেকে আওলাদ হোসেন বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা যেন এক নদী! পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় রাস্তার এ বেহাল অবস্থা। বড়ইকান্দি ভাটেরচর দুর্ভোগ- ভোগান্তির আরেক টাওয়ারে রাস্তায়। একটু বৃষ্টি হলেই পানি আটকে এ রাস্তা নদীতে পরিণত হয়। রাস্তায় পানি আটকে থাকার ফলে এ রাস্তা দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যানজট চলাচল করে। পানি জমে থাকার কারণে রাস্তা কিছু কিছু স্থানে ছোট ছোট খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই পানি জমে একাকার হয়ে যায়। পাল্টে যায় রাস্তার চেহারা। বড়ইকান্দী ভাটেরচর গ্রামে প্রায় ৩ হাজার’ লোকের বসবাস। প্রতিদিন রাস্তাটি দিয়ে ভাটেরচর বাজারে, ভাটেরচর দে এ মান্নান পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও বড়ইকান্দি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, কিন্ডারগার্টেন স্কুল ও ভাটেরচর মাদ্রাসায় ও কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী, কর্মজীবী নারী পুরুষ জরুরী ও গুরুত্বপূর্ণ কাজে গ্রামের শুধুমাত্র এই রাস্তায় আশা-যাওয়া করতে হয়। রাস্তার বেহাল দশায় প্রতিনিয়ত দুর্ভোগের শিকার পোহাতে হয়।আর তিন ধরে টানা বৃষ্টি ফলে রাস্তায় হাটুপানি জমে রয়েছে ও রাস্তার পাশের দোকানপাটগুলোতে পানি ঢুকে পড়ে। এতে প্রতিনিয়তই ক্ষতির মুখে পড়ছেন ব্যবসায়ীরা। সোমবার সরজমিন দেখা যায়, ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় যেন এলাকার মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। পুরো এলাকার রাস্তায় জমে থাকে প্রচুর ময়লা পানি। ড্রেনেজ না থাকায় এসব বর্জ্য পানি জমে থাকছে রাস্তার উপরে। আবুল হাশেম জানান, রাস্তা নির্মাণকালে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় অল্প বৃষ্টিতেই রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। দুর্ভোগে পড়েছে বরইকান্দি গ্রামের নারী পুরুষ ও চলাচলকারী রিক্সা ও মিশুক চালক। সিএনজি চালক তোতা মিয়া জানান, জলাবদ্ধতায় রাস্তা দিয়ে গাড়ি চলাচলে গাড়ি নষ্টসহ নানা বিড়ম্বনায় পরতে হয় যাত্রী ও চালকদের। স্থানীয়দের দাবি অতি দ্রুত গ্রামের একমাত্র রাস্তাটি সংস্কার করে চলাচলে উপযোগী করা। মোটরসাইকেল চালক আকাশ বলেন সড়ক দিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে দিনের বেলায় কোনরকম চলাচল করলেও রাতে বেলা সম্ভব না। টেংগারচর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব বোরহান উদ্দিন দেওয়ান বলেন, আমাদের প্রায় প্রতিনিয়ত এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয়। রাস্তাটির বেহালদশা গত কয়েক মাস ধরে। অতি দ্রুত রাস্তাটি সংস্কার ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা কাজ করা না হলে এখানে বড়ধরনের দুর্ঘটনা ঘটারও সম্ভাবনা রয়েছে। তাই বৃহত্তর জনস্বার্থে দ্রুত রাস্তাটি মেরামত করা প্রয়োজন। টেঙ্গারচর ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল হাসান ফরাজি জানান, এলাকার গণ মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে একাধিকবার উপজেলা আইন শৃংখলা সভা এবং উন্নয়ন সভায় রাস্তা সংস্কার ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা চাহিদা দেওয়া হয়েছে। মেরামত বরাদ্দ না থাকায় সংস্কার হচ্ছে না। বিষয়টি সম্পর্কে জানতে এলজিইডির গজারিয়া উপজেলার উপজেলা প্রকৌশলী কাজী ইশতিয়াক আহমেদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কয়েক হাজার মানুষ এ রাস্তাটি ব্যবহার করেন। তিনি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে এ অর্থবছরে রাস্তাটির নির্মাণ কাজ শুরু করা যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।