পাকিস্তানের সংবিধানের ৬২(১)(এফ) অনুচ্ছেদকে ‘ড্রাকোনিয়ান’ আইন বলে অভিহিত করেছেন প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়াল। এই ধারার অধীনে একজন রাজনীতিককে যাবজ্জীবনের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের নেতা ফয়সাল ভাওদার বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন অযোগ্য ঘোষণার বিরুদ্ধে আবেদনের শুনানিতে প্রধান বিচারপতি গতকাল মঙ্গলবার ওই মন্তব্য করেন। উল্লেখ্য, ফয়সাল ভাওদা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক বলে একটি মিথ্যা এফিডেভিট দাখিল করা নিয়ে মামলার বিষয়ে আদালত শুনানি করছিল। প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়ালের নেতৃত্বে তিন বিচারকের বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আপিলের শুনানি করে। এ সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৬২(১)(এফ) হলো একটি কুখ্যাত আইন। আমরা সতর্কতার সঙ্গে এবং বিস্তারিত শুনানি করবো এই আবেদনের। এ খবর দিয়েছে অনলাইন জিও নিউজ।
সংবিধানের ১৮৫(৩) ধারার অধীনে ফেব্রুয়ারিতে আবেদন দাখিল করেন পিটিআই নেতা ফয়সাল ভাওদা। তাকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকার কারণে ৯ই ফেব্রুয়ারি প্রথমে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন নিষিদ্ধ করে। পরে ১৬ই ফেব্রুয়ারি ইসলামাবাদ হাইকোর্ট একই রায় দেয়। ফয়সাল ভাওদা বলেন, খেয়ালখুশি মতো রায় দিয়েছে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন এবং ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। এ রায় দেয়ার ক্ষেত্রে কোনো আইনগত কর্তৃত্ব নেয়া হয়নি। এর কোনো আইনগত কার্যকারিতা নেই। সুপ্রিম কোর্ট সে রকমই রায় দিয়েছে। ফয়সাল ভাওদা নির্বাচন কমিশন ও ইসলামাবাদ হাইকোর্টের রায়কে একপাশে সরিয়ে রাখার আবেদন জানান। তিনি আপিলে বলেন, নির্বাচন কমিশন তাকে যাবজ্জীবন অযোগ্য ঘোষণার জন্য সংবিধানের ৬২(১)(এফ) ধারা ব্যবহার করেছে, এর কোনো যুক্তি নেই।