কলেজছাত্র রেজাউল করিম। সংঙ্গীতে অসাধারণ প্রতিভা। কোন মঞ্চে উঠলেই গীত-বাদ্য আনন্দে মেতে উঠতো দর্শক-শ্রতা। তার মধুর সুরে অনুষ্ঠান স্থলের হাজারো নারী-পুরুষ মুগ্ধ হতেন। কিন্তু থমকে গেছে এই কণ্ঠশিলীর গান গাওয়া। বন্ধের পথে তার লেখাপড়া। বাবার অভাবের সংসারের হাল ধরতে রেজাউল এখন দিশেহারা। এই রেজাউল করিমের বাড়ি গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার পশ্চিম দামোদরপুর গ্রামে। এ গ্রামের দিনমজুর হাফিজার রহমানের ছেলে সে। জানা যায়, অতিদরিদ্র পরিবারের ছেলে রেজাউল করিম। শিশুকাল থেকে সঙ্গীতের প্রতি ঝোঁক। স্থানীয়ভাবে কোন সংঙ্গীতানুষ্ঠান হলে সেখানে ছুটে চলা তার। আর নানা ধরণের সংঙ্গীত পরিবেশন করে মাতিয়ে দিতো অুনষ্ঠান এলাকা। এর পাশাপাশি লেখাপড়ায় অনেকটা মনযোগি। বাবার দারিদ্রতাকে ডিঙ্গিয়ে একাদশ শ্রেণিতে অধ্যায়নরত। উচ্চ শিক্ষার পাশাপাশি সংঙ্গীত জগতে অনেক দূর এগিয়ে যাবে, এমন স্বপ্ন তার। কিন্তু সেইসব স্বপ্ন এখন অবাস্তবতার পথে। এরই মধ্যে বাবার অভাবের সংসারে হাল ধরতে হয়েছে। জীবিকার তাগিতে এদিক-সেদিক ছুটতে হচ্ছে তাকে। যেন আলোকিত জীবনে নিভু নিভু অবস্থা বিরাজ করছে। মেধাশক্তি থাকার পরও আর পারছে না মানুষদের গান শোনাতে। না পারছে লেখাপড়া করতে। এ বিষয়ে রেজাউল করিম বলেন, আমি উচ্চ শিক্ষা অর্জন করে সংঙ্গীতে এগিয়ে যাবার পরিকল্পনা করছিলাম। কিন্তু বাবার অভাব-অনটনের সংসারে হাল ধরতে গিয়ে সব স্বপ্নই চুরমার হচ্ছে। কেউ সহযোগিতা করলে হয়তো আমার কাঙ্খিত স্বপ্ন পূরণ হতো। এদিকে, কান্নাজড়িত কণ্ঠে হাফিজার রহমান বলেন, আমার একমাত্র ছেলে রেজাউল করিম। ছোট বেলা থেকে ওর জ্ঞান-বুদ্ধি খুবই ভালো। অন্যের বাড়িতে শ্রম বিক্রি করে ছেলেটা কে লেখাপড়া ও সংঙ্গীতের খরচ যুগিয়েছি। এমতাবস্থায় সংসারের ঋণের ভারে সবই যেনে অন্ধকার দেখছি।