দলিত সম্প্রদায়ের মল্লিকার্জুন খাড়গেকে সভাপতি হিসেবে বেছে নিল ভারতের পুরনো রাজনৈতিক দল কংগ্রেস। আর এর মাধ্যমে ১৯৯৮ সালের পর এই প্রথম কংগ্রেসের সভাপতি পদে গান্ধী পরিবারের বাইরের কেউ বসতে চলেছেন। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন এবং তার আগে একাধিক রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেসকে পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে লড়াই করতে হবে খাড়গের নেতৃত্বাধীন কংগ্রেসকে। গতকাল মঙ্গলবারের এ ভোটে প্রায় সাড়ে ৯ হাজার ডেলিগেটের ভোটের মধ্যে ৭ হাজারেরও বেশি ভোট যায় ‘সোনিয়া-অনুগত’ খাড়গের ঝুলিতে। প্রতিদ্বন্দ্বী শশী থারুর পান মাত্র এক হাজার ভোট। উল্লেখ্য, ১৩০ বছরের দীর্ঘ ইতিহাসে কংগ্রেসে আজ পর্যন্ত ৪১ জন সভাপতি হয়েছেন। মল্লিকার্জুন খাড়গে তাদের মধ্যে দ্বিতীয় দলিত হিসেবে দলের সর্বোচ্চ পদে আসীন হলেন আজ। এর আগে ২০০০ সালে শেষবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল কংগ্রেস সভাপতি পদের জন্য। সেবার জগজীবন রামকে হারিয়ে সভাপতি হয়েছিলেন সোনিয়া গান্ধী। এরপর থেকে পরবর্তী দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে কংগ্রেস সভাপতি থেকেছেন কোনো এক গান্ধী। তবে ২০২২ সালে শেষমেষ সেই ধারাবাহিকতা ভাঙল।
এদিকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করলেও কংগ্রেসের রাশ গান্ধীর হাতেই থাকবে বলে মনে করে রাজনৈতিক মহল। গান্ধীদেরকে সাথে নিয়েই নতুন সভাপতিকে দল পরিচালনার কাজ করতে হবে এই ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন খাড়গে। নিজেকে গান্ধীদের ‘রিমোট কন্ট্রোল’ বলতে নারাজ হলেও দল ও দেশে গান্ধীদের ভূমিকা নিয়ে সরব থেকেছেন খাড়গে। এদিকে নিজের হার মেনে নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী খাড়গেকে নির্বাচনে জয়ের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন শশী থারুর। এদিকে গতকাল বুধবার নির্বাচনের ফল প্রকাশের আগেই মল্লিকার্জুন খাড়গেকে দলের সভাপতি বানিয়ে দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। গতকাল কংগ্রেসে তার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে রাহুল গান্ধী বলেন, ‘আমার ভূমিকা নির্ধারণ করবেন কংগ্রেস সভাপতিৃ খাড়গেজিকে জিজ্ঞাসা করুন।’ উল্লেখ্য, রাহুল যখন এই মন্তব্য করেছিলেন তখনো কংগ্রেস সভাপতি পদের নির্বাচনের ফল প্রকাশ হয়নি। সূত্র : হিন্দুস্থান টাইমস, আনন্দবাজার পত্রিকা